নন্দীগ্রাম ভোট শেষে ‘লেফট ইজ রাইটে’ মীনাক্ষী, তৃণমূল-বিজেপিকে চমকপ্রদ বার্তা
নন্দীগ্রাম ভোট শেষে ‘লেফট ইজ রাইটে’ মীনাক্ষী, তৃণমূল-বিজেপিকে চমকপ্রদ বার্তা
নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ ভোট শেষ। হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রের হাইপ্রোফাইল প্রার্থীরা এবার অন্য প্রার্থীদের জেতানোর দায়িত্ব নিয়ে চাপমুক্ত মনে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু মমতা-শুভেন্দুর হাইভোল্টেজ ম্যাচে নবীন হয়েও যিনি লড়াইয়ের ময়দানে শেষপর্যন্ত টিকে ছিলেন, তিনি ভোট ফুরোতেই দিলেন তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা।
মমতা-শুভেন্দুরদের লড়াইয়েও হারিয়ে যাননি মীনাক্ষী
সিপিএমের যুব সংগঠন জিওয়াইএফআইয়ের সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম ভোটে লক্ষ্য ছিল সংগঠনকে চাঙ্গা করা, সেই কাজ তিনি করতে সক্ষম হয়েছেন বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মমতা-শুভেন্দুরদের লড়াইয়ের মধ্যেও তিনি যে হারিয়ে যাননি, তিনি যে জনমানসে দাগ কেটে গিয়েছেন, সেটাই মীনাক্ষীর বড় পাওয়া।
‘লেফট ইজ রাইটে’ তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন মীনাক্ষী
মীনাক্ষী কথা দিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামের ভোট ফুরোলেই তিনি পথে নামবেন যুব সংগঠনকে নিয়ে। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএমের অফিসিয়াল পেজ 'লেফট ইজ রাইটে' তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন মীনাক্ষী। তিনি বিজেপি ও তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় জানালেন, দুই সরকারই যুব সমাজের জন্য কিছু করেনি।
কর্মহীন মানুষ তাহলে কী করবে? প্রশ্ন মীনাক্ষীর
মীনাক্ষী বলেন, দেশে লকডাউন চলছে, না আনলক চলছে বোঝা দায়। আগে ফোনে লকডাউনের কথা বলা হত। এখন বলে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে বেরোবেন না। কর্মহীন মানুষ তাহলে কী করবে? সরকার তো আলু আর চাল দিয়েই তাদের দায় সারছে। মানুষ কী করে বাঁচবে, তার কোনও বিকল্প পন্থা দেখাতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কর্ম-পরিকল্পনাই নেই
মীনাক্ষীর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কর্ম-পরিকল্পনাই নেই। কর্মসংস্থান বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা করেনি কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। উল্টে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কয়লাখনি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, রেল বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিএসএনএল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রের যেমন অবস্থা, রাজ্যও চলছে গতানুগতিক পথে
নন্দীগ্রামের বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকার কার হয়ে কাজ করছে আমরা খুব বুঝতে পারছি। দেশের মানুষও বুঝতে পারছে। সারা দেশে কোথাও কোনও কাজ নেই। যুব সমাজ হাহাকার করছে। দেড় বছর রেলের কোনও পরীক্ষা হয়নি। কেন্দ্রের যেমন অবস্থা, রাজ্যও চলছে গতানুগতিক পথে।
স্ট্যালিন, নামই যথেষ্ট! আইটি জুজুকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে মোদীকে চ্যালেঞ্জ ডিএমকে সুপ্রিমোর