মৃত যাত্রীর সঙ্গে ২০ ঘন্টা! লকডাউনে বাড়ি ফেরার দুঃসহ অভিজ্ঞতা বাংলার পরিযায়ীদের
মৃত যাত্রীর সঙ্গে ২০ ঘন্টা! লকডাউনে বাড়ি ফেরার দুঃসহ অভিজ্ঞতা বাংলার পরিযায়ীদের
লকডাউনে বাড়ি ফেরার দুঃসহ অভিজ্ঞতা হল একই বাসে আসা ৩৪ জন যাত্রী ও পরিবারের সদস্যদের। মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় ফেরার জন্য বাস ভাড়া করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় এক পরিযায়ী শ্রমিকের। সেই মৃতদেহ সঙ্গে করেই ২০ ঘন্টা যাত্রা করে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছন পরিযায়ীরা।
বাসেই মৃত্যু পরিযায়ীর
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যে ফেরার সময় ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্তে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু হয় এক সহযাত্রী সুদর্শন মণ্ডলের। যাত্রীরা চেকপোস্টে ওড়িশা পুলিশের থেকে সাহায্য প্রার্থনা করলেও, তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। বরং পরিযায়ীদের বলা হয়, দেহ নিয়েই তাড়াতাড়ি রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার জন্য। ওই ব্যক্তি মুম্বইয়ের হাসপাতালের কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সাহায্য মেলেনি রাস্তায়
সহযাত্রীর পরিস্থিতি দেখে রাস্তায় বাস থামানো হয়েছিল। কিন্তু কোথাও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন অন্য সহযাত্রীরা।
অভিজ্ঞতার বর্ণনা
শর্মিষ্টা বেরা নামে এক মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর দু বছরের কন্যাকে নিয়ে ওই মৃতের একেবারে সামনে বসেছিলেন তিনি। সেই সময় প্রত্যেক মিনিটকে ঘন্টার মতো মনে হয়েছে। বেশিরভাগ সময় তিনি চোখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বাসিন্দারা এই বাস ভাড়া করে বাড়ি ফেরেন সোমবার।
ট্রেনে পরিযায়ীদের মৃত্যু ছোট ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা! দিলীপের মন্তব্যের সমালোচনায় এক তৃণমূল, সিপিএম