জ্ঞান বিলেত ফেরত পড়ুয়াদের থেকে বেশি, বাংলার গ্রামের যুবকদের সেলফ কোয়ারেন্টাইন তাক লাগাল সবাইকে
শহুরে আমলা কিংবা ব্যবসায়ী পুত্রের মতো তাঁদের অতটা জ্ঞান নেই। কিন্তু স্বল্প জ্ঞানেই স্ব-সচেতনতা গড়ে তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী স্রমিক। যা সবাইকে তাক লাগিয়ে গিয়েছে।
শহুরে আমলা কিংবা ব্যবসায়ী পুত্রের মতো তাঁদের অতটা জ্ঞান নেই। কিন্তু স্বল্প জ্ঞানেই স্ব-সচেতনতা গড়ে তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী স্রমিক। যা সবাইকে তাক লাগিয়ে গিয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত এইসব শ্রমিকরা সম্প্রতি পুরুলিয়ায় নিজের গ্রামের কাছেই আশ্রয় নিয়েছেন চেন্নাই থেকে ফিরে।
জায়গা নেই ঘরে
কাজে গিয়েছিলেন বাইরের রাজ্যে। কিন্তু করোনা আতঙ্কে ফিরতে হয়েছে গ্রামের বাড়িতে। চিকিৎসকরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছেন। কিন্তু ঘর তো মাত্র একটা। তাই পরিবারের সদস্যদের বিপদে ফেলতা রাজি হননি তারা। বের করে ফেলেছেন উপায়।
গাছকেই আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন আদিবাসী যুবকরা
গ্রামে ফেরত আসা আদিবাসী যুবকরা ঘরে না ঢুকে বেছে নিয়ে গ্রামে থাকা বিশালাকার বটগাছকে। বটগাছের নিচে থাকার জায়গা হলেও, রাতবিরেতে হাতির হানার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই তাঁরা গাছের মোটা ডালে মশারি টানিয়ে শোয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন। আর শোয়ার জন্য গাছের ডালের সঙ্গে ছোট খাটিয়াও বেধে নিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
গত সপ্তাহে চেন্নাই থেকে রওনা
বলরামপুর থানার অন্তর্গত অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে ভাঙ্গিডি গ্রামের বাসিন্দা এইসব যুবকরা। গত সপ্তাহের শনিবার চেন্নাই থেকে রওনা দেন ওইসব শ্রমিকরা। পরেরদিনই তাঁরা খড়গপুরে পৌঁছে যান। সেখানে তাঁদের মেডিক্যাল চেকআপ করানো হয়।
চিকিৎসকদের নির্দেশে কোয়ারেন্টাইনে
এই যুবকদের কারও জ্বল না থাকলেও চিকিৎসকরা এঁদের ১৪ দিন সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। যার জেরে সোমবার গ্রামের সামনেই থাকা গাছকেই আশ্রয়স্থল হিসেবে বেথে নিয়েছেন তাঁরা।
পরিবার ও গ্রামবাসীরা করেছেন সাহায্য
তবে গ্রামবাসীরা এইসব যুবকদের সাহায্য করেছেন। তাঁদের চারপায়া যোগার করে দেওয়া থেকে মশারি যোগার করে দেওয়া, সব কিছুর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের খাবারের যোগানও দিচ্ছেন। তবে খাবার গাছের নিচে রেখে যাওয়ার পর গাছের ওপর থেকে নামছেন বিমল, বিজয়ের মতো যুবকরা।