সেলফ কোয়ারেন্টাইন, এবার বনবাসে রাজ্যের ৩ শ্রমিক
পুরুলিয়ার বলরামপুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখা গিয়েছিল গাছের ডালে খাটিয়ে বেধে নিতে। এবার রাজ্যেরই তিন শ্রমিক গ্রামের মানুষ ও পরিবারকে বাঁচাতে বনবাসকে বেছে নিয়েছেন ১৪ দিনের জন্য।
পুরুলিয়ার বলরামপুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখা গিয়েছিল গাছের ডালে খাটিয়ে বেধে নিতে। এবার রাজ্যেরই তিন শ্রমিক গ্রামের মানুষ ও পরিবারকে বাঁচাতে বনবাসকে বেছে নিয়েছেন ১৪ দিনের জন্য। নদিয়ার এই ৩ শ্রমিক ফিরেছিলেন ওড়িশা থেকে।
বাঁচাতে হবে পরিবার, গ্রামকে
কাজে গিয়েছিলেন বাইরের রাজ্যে। কিন্তু করোনা আতঙ্কে ফিরতে হয়েছে গ্রামের বাড়িতে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছেন। কিন্তু একদিকে যেমন বাড়িতে থাকার জন্য আলাদা ঘর নেই, অন্যদিকে আতঙ্কে পরিবার থেকে গ্রামবাসী সবাই। সেই মতো বের করে ফেলেছেন উপায়। বেছে নিয়েছেন, শাল, লম্বুর বাগানকে। সেখানেই ত্রিপল দিয়ে তাঁবু খাটিয়েছেন তাঁরা।
৩ যুবক নদিয়া থেকে গিয়েছিলেন ওড়িশায়
নদিয়ার ধানতলা থানা এলাকায় রঘুনাথপুর গ্রাম। এই গ্রামেরই ৩ যবক তরুণ সরকার, সুজিত মণ্ডল এবং বিশ্বজিৎ বিশ্বাস গিয়েছিলেন ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায়, কাঠের কাজ করতে। পকেটে পয়সা থাকলেও খাবারের অভাব দেখা দেয়। সাইকেলে ফিরছিলেন, ৩ জন। তবে ঝাড়খণ্ড পুলিশ তাঁদেরকে খড়গপুরের একটি সবজির গাড়িতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু রঘুনাথপুর গ্রামে ফিরলেও কেউ বাড়িতে ঢোকেননি।
পরিবার ও পঞ্চায়েত সাহায্য করছে যুবকদের
পরিবার ও পঞ্চায়েতের তরফ থেকগে এইসব যুবকদের সাহায্য করা হচ্ছে। কোনওদিন পঞ্চায়েত, কোনও দিন বাড়ির লোকেরা তাঁদের খাবার দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন, নদিয়ার ওই তিন যুবক। তিন যুবকের ওই সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও জেলা প্রশাসন।
গাছকেই আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আদিবাসী যুবকরা
দিন কয়েক আগে পুরুলিয়ার বলরামপুরে গ্রামে ফেরত আসা আদিবাসী যুবকরা ঘরে না ঢুকে বেছে নিয়ে গ্রামে থাকা বিশালাকার বটগাছকে। বটগাছের নিচে থাকার জায়গা হলেও, রাতবিরেতে হাতির হানার আশঙ্কা থাকায় তাঁরা গাছের মোটা ডালে মশারি টানিয়ে শোয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেন। আর শোয়ার জন্য গাছের ডালের সঙ্গে ছোট খাটিয়াও বেধে নিতে দেখা গিয়েছিল।