মহারাষ্ট্র থেকে মালদহে ঘরে ফিরতে গিয়ে হেনস্থা পরিযায়ী শ্রমিকদের
মহারাষ্ট্র থেকে মালদায় ঘরে ফিরতে গিয়ে হেনস্থা পরিযায়ী শ্রমিকদের। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাসে চড়ে শনিবার সন্ধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা পৌঁছন এরাজ্যে।
মহারাষ্ট্র থেকে মালদায় ঘরে ফিরতে গিয়ে হেনস্থা পরিযায়ী শ্রমিকদের। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাসে চড়ে শনিবার সন্ধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা পৌঁছন এরাজ্যে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে সেই বাস থেকে নেমে পড়ে কার্যত অসহায় মালদার পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার।
বাড়ির এত কাছে এসেও নিজের রাজ্যে এসেও এতটা হেনস্তা হতে হবে ভাবেননি। পরিবার নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাবুঘাট পেরিয়ে হাওড়া ব্রিজের কাছে একটু বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া কিছু খাবার বেঁচে ছিল সেগুলোই খেয়ে একটু বিশ্রাম নিতে চেয়ে ছিলেন। অভিযোগ কলকাতা পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়।বাধ্য হয়েই রাতের কলকাতায় ট্যাক্সি ভাড়া করে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত খোঁজ কোনভাবে যদি মালদা ফেরার বাস লরি কিছু পাওয়া যায়।
মালদার মানিকচকের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নাসির মোহাম্মদ সেলিম ও তাদের পরিবার। স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে 9 জনের পরিবার।পাঁচ মাস আগে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের নাগপুরে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেবেন বলে।আরো একটু বেশি উপার্জনের আশায় মহারাষ্ট্রে পাড়ি। তখনো ভাবতে পারেননি লকডাউন এ বাড়ি ফিরতে এতটা সমস্যায় পড়তে হবে। বিদেশ-বিভূঁইয়ে সরকারি সহযোগিতা পেলেও নিজের রাজ্যে এসেই অসহায় মালদার নাসির সেলিমরা।