রাজ্যে কাজ নেই, মুর্শিদাবাদের পরিযায়ীরা ফের বাড়ি ছাড়ছেন! উপায় না দেখে স্বাগত তৃণমূল নেতার
রাজ্যে কাজ নেই, মুর্শিদাবাদের পরিযায়ীরা ফের বাড়ি ছাড়ছেন! উপায় না দেখে স্বাগত তৃণমূল নেতার
করোনা লকডাউনের ভয়ে ভীত হয়ে ভিনরাজ্যের কর্মস্থল ছেড়ে ফিরেছিলেন বাড়িতে। এঁদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের বেশিরভাগকেই বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেছিলেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে তাঁদের মতো কাজের বন্দোবস্ত করা যায়নি। ফলে সেই পরিযায়ীরা ফের পাড়ি দিচ্ছেন ফেলে আসা কর্মস্থলের উদ্দেশেই।
পরিযায়ীর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থস্থানে
২০১১-র সেনসাস তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, পরিযায়ীর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান চতুর্থ। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৫.৮ লক্ষ মানুষ রাজ্য ছেড়েছিলেন। এখন সেই সংখ্যাটা ১১ লক্ষের কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলায় অন্য জেলার থেকে পরিযায়ীর সংখ্যা সব থেকে বেশি।
পরিযায়ীদের রাজ্যে আসার ব্যবস্থা করে ফের ফেরানোর উদ্যোগ
সিটিজেন্স ফর সোশ্যাল জাস্টিস নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে প্রায় ২০০০ পরিযায়ীকে রাজ্যে ফেরানোর বন্দ্যএাবস্ত করেছিল। এবার তাঁদের জন্যই ফিটনেস সার্টিফিকেট আর মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে তাঁদের ফের ফেরত পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ২০০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
স্বাগত মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের
মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের তরফ থেকে এই ঘটনাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। জেলা তৃণমূলের মুখপত্র অপূর্ব সরকার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্মান, বয়নশিল্প এবং জুয়েলারি শিল্পে এইসব শ্রমিকরা কাজ করেন। কাজের বিনিময়ে অন্য রাজ্যে বড় উপার্জনও করেন তাঁরা। ফলে সরকারের তরফ থেকে তাঁদের জন্য মহাত্মা গান্ধী এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে ১০০ দিনের যে কাজ তাঁদের দেওয়া হয়েছে, তা উপযুক্ত নয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজের প্রশংসাও করেছেন তিনি।
ইস্যু হয়েছিল পরিযায়ীরা
অথচ করোনা শুরুর সময়ে এই পরিযায়ীরাই বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল রাজ্যে। ২৬ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখে পরিযায়ীদের জন্য খাবার, বাসস্থান, ওষুধের বন্দোবস্ত করতে অনুরোধ করেছিলেন। অন্যদিকে ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী পরিযায়ীদের নিয়ে যখন গরিব কল্যাণ অভিযানের সূচনা করেছিলেন, সেই সময় ১১৬ টি জেলার মধ্যে রাজ্যের একটিও জেলার নাম থাকায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়ে প্রশ্ন
একদিকে যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য ছাড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা, সেই পরিস্থিতি রাজ্যের বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক যুব দিবসে যুবসম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ঋণ দিয়ে বেকার যুবকদের সমস্যার সমাধানের কথা বলেছিলেন। যদিও বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
প্রতীকী ছবি
সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতি, এবার সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে অর্জুনের বাড়িতে পুলিস, সাংসদের সামনেই চলল তল্লাশি