জব কার্ড নিয়ে হয়রানি! মমতার নির্দেশের উলটপুরাণ কালনার সাতগাছি পঞ্চায়েতে
জব কার্ড নিয়ে হয়রানি! মমতার নির্দেশের উলটপুরাণ কালনার সাতগাছি পঞ্চায়েতে
পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করা নিয়ে রাজ্য সরকারি নির্দেশের উলটপুরাণ পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা ২ নং ব্লকের সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে। লকডাউনে বিপন্ন মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১০০ দিনের কাজে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও কাজের ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন তিনি। আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে জব কার্ড পাওয়ার কথা, কিন্তু তা হয়নি এখনও, স্থানীয় সূত্রে এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
লোকসভা ভোটে পিছিয়ে থাকা পঞ্চায়েতে দেখা মেলে না প্রধানের
লোকসভা ভোটে বর্ধমান জেলার কালনা ২ নং ব্লকের সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে কয়েক হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর এক বছর কেটে গেলেও মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করার উদ্যোগ তো দেখাই যায়নি, বরং অসন্তোষ বাড়ছে ধীরে ধীরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশিরভাগ সময়েই প্রধান তাপস সরকারের দেখা পাওয়া যায় না।
অন্ধকারে জব কার্ডের আবেদনকারীরা
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ২৫টির মধ্যে মাত্র ৪টি বুথে চলছে ১০০ দিনের কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে জব কার্ডের আবেদন করা হাজার দুয়েক মানুষ এখনও অন্ধকারেই। মঙ্গলবার ৩০ জুন দলীয় কাজে মাঠেরপাড়া সংসদে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু। এই এলাকায় সংখ্যালঘু মানুষজনের বসবাস। বিধায়ককে ঘিরে শ'খানেক মানুষ বলেন, এখানকার সদস্য তথা প্রাক্তন প্রধান কৃষ্ণা কর্মকার তাদের একশো দিনের কাজের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন না। অভিযোগ, অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এলেও কেউই ১০০ দিনের কাজ পাননি।
পঞ্চায়েতে ফর্ম না পাওয়ার অভিযোগ
স্থানীয় বাসিন্দা সন্ধ্যা বসাক জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তিনি ফর্ম পাননি। পঞ্চায়েত সদস্য নিজে কিছু না করে যাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন তিনি তো বলেছেন, তিনি নাকি কিছুই জানেন না। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে গরিব, অসহায় মানুষের কথা ভাবছেন সেখানে পঞ্চায়েত কিছুই করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
স্বীকৃতি নথি দিচ্ছে না পঞ্চায়েত
স্বপন বিশ্বাস, নীলিমা সরকার, বাবন শিকদার, পরেশ সরকার, অর্চনা বিশ্বাস, পার্থ বিশ্বাস, গোবিন্দ হালদার, নিত্য হালদার, পুতুলরাণি সরকার, অপর্ণা রায়, শ্যামচন্দ্র দাস, দিলীপ মণ্ডলদের দাবি, ফর্ম পূরণ করেও তাঁরা জমা দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। তাঁদের কথায়, পঞ্চায়েতে আবেদনের বান্ডিল পড়ে রয়েছে। কাউকে আবেদন গ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ কোনও নথিও দেওয়া হচ্ছে না। বিডিও অফিসে যোগাযোগ করলে ওই নথি নিয়ে আসতে বলা হচ্ছে।
অসন্তোষ তৃণমূলের অন্দরেও
পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলকর্মী বলেছেন, বিজেপি, সিপিএম নেতার পরিবারের লোক ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন ভাল কথা। অথচ যে গরিব, খেটেখাওয়া মানুষগুলো তৃণমূলের হয়ে কাজ করেন, তাঁরা যোগ্য হয়েও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজ পাচ্ছেন না সরকারের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও। দলের সংগঠন ধরে রাখতে নিজের পয়সায় ওই মানুষগুলোকে খাদ্যসামগ্রী কিনে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বাম রাজ্য কেরল সেরা,পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে খারাপ! বাল্যবিবাহ রোধে মমতা সরকারের উদ্যোগ পরিসংখ্যানে ধরা দিল