চাঁদার জুলুমবাজি, ভাঙচুর করা হল ধাবা, মারধর মালিককে, অভিযোগ স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে
কালীপুজোর
চাঁদা
না
দেওয়ায়
স্থানীয়
ক্লাবের
সদস্যরা
বরানগরের
একটি
ধাবায়
ভাঙচুর
চালালো।
বৃহস্পতিবার
রাতে
আলমবাজারে
এই
ঘটনা
ঘটে।
রাস্তার
ধারের
ওই
ধাবাটি
চাঁদা
দিতে
অস্বীকার
করার
জন্যই
তাঁর
ধাবায়
ভাঙচুর
চালানো
হয়।
পাশাপাশি
ধাবার
মালিককেও
মারধর
করে
অভিযুক্তরা।
ধাবার মালিক মুন্সিলাল রায় জানান, কিছুদিন আগে কালীপুজোর জন্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে তাঁর কাছে হাজির হন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা। কিন্তু তিনি অত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এমনিতেও ধাবার মালিকের ওপর কিছুটা বিরক্ত ছিল ক্লাবের সদস্যরা।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ১৫ জন সদস্যের দল এসে ধাবার মধ্যে গণ্ডগোল শুরু করে। যখন মুন্সিলাল প্রতিবাদ জানাতে যান, তাঁকেও মারধর করা হয়। বাবাকে মার খেতে দেখে ধাবার মালিকের ছেলে তাঁকে বাঁচাতে আসে কিন্তু ছেলেকেও ধরে মারধর করে ওই ক্লাবের সদস্যরা। ধাবার মালিক অভিযোগ করেন, কাছেই পুলিশের পেট্রোলিং ভ্যান থাকলেও সেখান থেকে কেউ ক্লাব সদস্যদের দৌরাত্ম্য থামাতে আসেনি।
এরপর ওই ক্লাব সদস্যরা রাস্তার ধারে ওই ধাবাটিকে ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। ধাবার মালিকের আরও অভিযোগ যে তিনি যখন বরানগর পুলিশ থানায় অভিযোগ জানাতে যান তখন পুলিশ অভিযুক্ত ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে মিটমাট করে নেওয়ার জন্য বলে। তবে পরে তাঁর অভিযোগ নেয় পুলিশ। যদিও স্থানীয় ওই ক্লাব তাদের ওপর আসা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। উল্টে তাদের অভিযোগ, ওই ধাবাটি এক মহিলাকে আপত্তিকর ভাষা বলে এবং তারা বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করে। মুন্সিলাল রায় এই অভিযোগ খারিজ করে দাবি করেন যে তিনি দু’বছর আগেই মদ বিক্রি করা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ওই ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসে চাঁদা চায়। আগস্টেই তিনি ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন।