সিঙ্গুরের বিজয় সমাবেশে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মেধা পাটেকর
সিঙ্গুর, ১৪ সেপ্টেম্বর : একদিনের ধরনা মঞ্চ আজ বদলে গিয়েছে বিজয় উৎসবের মঞ্চে। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই অনিচ্ছুক কৃষকদের জমির পড়চা বিতরণের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্পূর্ণ হল একটা বৃত্তের। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পড়চা ও ক্ষতিপূরণের চেক বিলির সূচনা করে তিনি বলেন, 'আমি নিজে যত জনকে পারব, তত জনকে পড়চা আর চেক দিয়ে যাব। আমি চলে যাওয়ার পর আমার ১০ জন মন্ত্রী থাকবেন। তাঁরা পড়চা ও ক্ষতিপূরণের চেক কৃষকদের হাতে তুলে দেবেন।' [সিঙ্গুর রায় নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল কী বলছে!]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে সিঙ্গুরের মঞ্চে গান গাইলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। গান গাইলেন কবীর সুমনও। উপস্থিত ছিলেন বিদ্বজ্জন, শিল্পী, সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন দলের মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদ ও সরকারি আমলারাও। উপস্থিত বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মেধা পাটকর, যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্ন, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, কবীর সুমন, শাঁওলী মিত্র প্রমুখরাও উপস্থিত ছিলেন সভামঞ্চে। [সিঙ্গুরে জমি জরিপের কাজ শুরু হল ধর্মঘটের দিনেই]
এদিনের সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে সমাজকর্মী মেধা পাটেকর বলেন, 'গরিব মানুষের জমি লুঠ করার চেষ্টা হয়েছিল সিঙ্গুরে। শীর্ষ আদালতের রায়ে আজ তা প্রমাণিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে বড় জয় পেয়েছে সিঙ্গুর।' তিনি এদিন প্রশংসায় ভরিয়ে দেন দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু, শুভেন্দু অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দেরও। [সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ, প্রসঙ্গ এড়ালেন সূর্যকান্ত মিশ্র]
এদিন দেখা যায়, বেড়াবেড়ি, খাসেরভেড়ি হয়ে টাটার প্রকল্প এলাকার মধ্যে দিয়ে মিছিল করে মানুষকে সভাস্থলে ঢুকতে। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছেন সিঙ্গুরে। সভাস্থলে সকাল থেকেই লোকশিল্পী, বাউলদের নিয়ে অনুষ্ঠান চলছে। সিঙ্গুরবাসী আজ আনন্দে আত্মহারা। ধামসা-মাদল, কাঁসর-ঘণ্টা আর শঙ্খ বাজিয়ে তাঁরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। সারাক্ষণই নৃত্য-গীতে জমজমায় সিঙ্গুর উৎসব। এদিন ৮০০ মানুষের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিলি করা হয়। ৯১১৭টির মধ্যে ৯০০ জনকে এদিন পরচা বিলিও করা হয়। [সিঙ্গুর ইস্যুর টাইমলাইন একনজরে]