মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি বড়মার! কী লেখা চিঠিতে, বিতর্কে আড়াআড়ি ভাগ মতুয়ারা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন বড়মা বীণাপাণি দেবী। তা নিয়েই মতুয়া ঠাকুর পরিবারে চাপান-উতোর তুঙ্গে। প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব বিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন বড়মা বীণাপাণি দেবী। তা নিয়েই মতুয়া ঠাকুর পরিবারে চাপান-উতোর তুঙ্গে। প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব বিল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠি প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। সেই চিঠিতে ছিল বড়মার স্বাক্ষরও। কিন্তু ওই চিঠি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
সোমবার নদিয়ায় বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মমতাবালা। সেখানেই সম্প্রতি মতুয়ামহলে বিজেপির মুখ হয়ে ওঠা শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বীণাপাণিদেবীর পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুর।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের নাগরিকত্ব বিল পাস হলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মতুয়া সম্প্রদায়। তাই রাজ্যসভায় বিলের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বড়মা এমন চিঠি দিতে পারেন না। তিনি তো এখন লিখতেই পারেন না। পারেন না সই করতেই।
তিনি এদিন প্রশ্ন তুলে দেন, আদৌ ওই চিঠি বড় মায়ের লেখা কি না। তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ওই চিঠির নেপথ্যে রয়েছে শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকা। প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগর সফরের ন'দিন পর মতুয়া ঠাকুরবাড়ি থেকে নাগরিকত্ব বিলে সমর্থন আদায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়।
বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর দাবি করেন, খোদ বড়মা এই চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। ওই বিল পাস হলে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সবথেকে বেশি লাভবান হবেন বলে তিনি দাবি করেন। তাই রাজ্যসভায় ওই বিলে সমর্থনের দাবি জানানো হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। এবং বিলকে সমর্ত না করলে মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে না, এমন দাবিও করা হয় চিঠিতে।
[আরও পড়ুন: নিজের হাতে পরিবেশন করে শিশুদের খাবার খাওয়ালেন মোদী, ভাইরাল হল ভিডিও ]
শান্তনু ঠাকুর বলেন, এই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁকেই দিয়েছেন বড়মা। সেইমতো তিনি মেল মারফৎ ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠান শান্তনু। সোমবার তা পৌঁছয় নবান্নে। তারপরই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই বিতর্ক আরও মারাত্মক রূপ নিল মমতাবালাদেবীর বক্তব্যের পর।
[আরও পড়ুন:দিল্লিতে মঞ্চ বেঁধে একদিনের ধরনায় চন্দ্রবাবু, ওড়ালেন প্রায় ২ কোটি টাকা ]
তিনি দাবি করেন, বড়মার বয়স ১০০ পেরিয়েছে। তিনি এখন সই করতে পারেন না। চিঠিটিও জালি ও মিথ্যা। তিনি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানাবেন। এবং এই চিঠি বিতর্কের বিহিত চাইবেন। অবিলম্বে তদন্ত হোক, চান তিনি।
[আরও পড়ুন: 'আত্মবিশ্বাসী' বিজেপির দখলে ২০১৯ নির্বাচনে কত আসন! উপহাসের পাত্র মুখ্যমন্ত্রী]