রাজনীতিমুক্ত ঠাকুরবাড়ি চাই! বিজেপির প্রার্থীপদে শান্তনুর বিরোধিতায় মতুয়াদেরই একাংশ
ফের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শান্তনু ঠাকুরের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হল ঠাকুরবাড়ির অন্দরে। মতুয়াদের স্বার্থে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির প্রার্থী হতে চাইলেও মতুয়াদের একাংশ চায় না শান্তনু ঠাকুর প্র
ফের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শান্তনু ঠাকুরের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হল ঠাকুরবাড়ির অন্দরে। মতুয়াদের স্বার্থে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির প্রার্থী হতে চাইলেও মতুয়াদের একাংশ চায় না শান্তনু ঠাকুর প্রার্থী হোন। তবে সাংবাদিক সম্মেলন করে শান্তনু ঠাকুর জানান, ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করার ইচ্ছে থাকলেও, তা হল না। তাঁকে নির্বাচনে লড়তেই হচ্ছে।
শান্তনু বলেন, মতুয়াদের স্বার্থে আমাকে নির্বাচনে লড়তেই হবে। সমগ্র জাতির হয়ে তাঁকে লড়তে হবে। তিনি আরও জানান, তৃণমূলের তরফে মমতাবালা ঠাকুর ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাই আমরা ঠাকুরবাড়িতে রাজনীতি মুক্ত করতে পারলাম না। ঠাকুরবাড়ির স্বার্থেই আমাকে ভোটে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, উদ্বাস্তু বিল পাস করার কথা ছিল, কিন্তু তার বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নিজেদের স্বার্থে তাঁরা বিরোধিতা করছে। মমতাবালা ঠাকুরও তৃণমূলের দাবির সঙ্গে একমত হয়েছেন। পি আর ঠাকুর ও বীণাপাণি ঠাকুরের যে আন্দোলন, তা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। তাই আমাকে নির্বাচনে লড়তে হবে।
তিনি বলেন, যদি মতুয়ারা চান, তবেই আমি নির্বাচনে লড়ব এবং জিতবও। যদি তাঁরা চান তবেই লড়ব। তবে মতুয়াদের একাংশ চায় না শান্তনু ঠাকুর ভোটে দাঁড়াক। তাঁরা এর বিরোধিতা করেন। তাঁদের দাবি ঠাকুরবাড়ি রাজনীতি মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেই ভোটে দাঁড়াচ্ছে শান্তনু ঠাকুর। মতুয়ারা এর প্রতিবাদ করছে।
একাংশের দাবি, মতুয়াদের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বিশ্বাসঘাতকতা করছে। এদিন শান্তনু ঠাকুরের প্রার্থী হওয়ার বিরোধিতা করে তাঁরা জানান, ঠাকুরবাড়ির অন্য কেউ প্রার্থী হোক, তবে দুলাল বর যেন বিজেপি প্রার্থী না হন। তাঁরা আরও জানান, আমরা চাই মতুয়াদের মান রক্ষা করতে ভগবান বলেছিলেন রাজনীতিমুক্ত ঠাকুরবাড়ি। কিন্তু ঠাকুরের বাণী যদি ব্যর্থ হয় তাহলে মতুয়ারা পাশে থাকবে না।