চারবছর প্রেমের পর চারমাস আগে বিয়ে, পণের বলি দত্তপুকুরের কৃষ্ণা
বিয়ের পর থেকেই প্রথমে উধাও হয়ে যায় প্রেম। শুরু হয় অত্যাচার। বধূনির্যাতনের বলি হয়ে ‘দেনাপাওনা’র ‘নিরূপমা’র দশা হয় কৃষ্ণার।
উত্তর ২৪ পরগনা, ২১ ডিসেম্বর : চারবছর প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে উপস্থিত হয়েছিল কৃষ্ণা ও সুমন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই প্রথমে উধাও হয়ে যায় প্রেম। শুরু হয় অত্যাচার। বধূনির্যাতনের বলি হয়ে 'দেনাপাওনা'র 'নিরূপমা'র দশা হয় কৃষ্ণার। মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।
কৃষ্ণার বাপের বাড়ির অভিযোগ, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। পণের দাবিতে তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হত। তার জেরেই খুন করা হয় কৃষ্ণাকে। এই ঘটনায় কৃষ্ণার স্বামী সুমন ঘোষ, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করে উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানা এলাকার কাসিমপুর গ্রামের ঘটনা। পাশাপাশি বাড়ি সুমন ও কৃষ্ণার। তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। চার বছর চলে তাঁদের প্রেম পর্ব। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন এবার এক ছাদের তলায় থাকার। চারমাস আগে বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শুরু হয় অত্যাচার। শেষপর্যন্ত করুণ পরিণতি হয় কৃষ্ণার।
গতকালই বাগুইআটিতে বিয়ের সাতদিনের মধ্যে পণের বলি হতে হয় কাজল দাসকে। গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরের আআগেতর চিহ্নও ছিল। ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের সঙ্গে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে বিয়ের যোগাযোগ হয়েছিল কাজলের। তারপরই সাতদিনের মধ্যে মর্মান্তিক পরিণতি অষ্টমঙ্গলায় জোড়ে বাপের বাড়ি যাওয়ার আগের রাতেই।