বাংলায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে 'মাওবাদ'! সতর্কবার্তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ফের জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদীরা একজোট হয়ে শক্তি সঞ্চয়ে নেমেছে।
জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকবছরের শান্তি ফের বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিষেণজীর মৃত্যুর পরে মাওবাদীরা অনেকটাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তারপরে হিড়িক পড়ে গিয়েছিল আত্মসমর্পণের। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ফের জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদীরা একজোট হয়ে শক্তি সঞ্চয়ে নেমেছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দারা বলছেন, মাওবাদীদের সশস্ত্র স্কোয়াড মাও নেতা আকাশের নেতৃত্বে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এলাকায় গ্রামে গ্রামে ঢুকে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
এই মাও স্কোয়াডে রয়েছে ১২-১৫ জন গেরিলা সদস্য। গত কয়েকমাসে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত পেরিয়ে বাংলা সীমান্তে তাদের গতিবিধি বেড়ে গিয়েছে। সিআরপিএফের ডিজিও কলকাতায় এসে সম্প্রতি এক আলোচনায় এই প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছেন।
বাংলায় মাও অধ্যুসিত চারটি জেলা রয়েছে। তার মধ্যে বাকীগুলি অনেকটা বিপন্মুক্ত হলেও ঝাড়গ্রামকে এখনও মাও অধ্যুসিত বলে অভিহিত করা হয়। কারণ এখানে মাও প্রভাব সেভাবে কমেনি।
ঘটনা হল, জঙ্গলমহল এলাকায় শাসক দল তৃণমূলের শক্তি কমছে। সেই সুযোগে মাওবাদীরা জমি দখলের চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগের ভোটেও তার প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিছুটা সমর্থন বিজেপির দিকে ঝুঁকছে। আর একটা অংশকে মাওবাদীরা ভোলানোর চেষ্টা করছে।
এই অবস্থা দেখে পুলিশের একটা অংশ বলছে, নব্বইয়ের দশকে যেভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে রাজ্যে মাওবাদ মাথাচাড়া দিয়েছিল, ঠিক সেরকম পরিস্থিতিই এখন তৈরি হয়েছে। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় এভাবেই ভিত শক্ত করেছিল মাওবাদ। এবারও নতুন করে সেদিকেই পরিস্থিতি গড়াচ্ছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলছেন, মাও নেতা আকাশের নেতৃত্বে বেলপাহাড়ি, বিনপুরের মতো জায়গায় মাওবাদীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। লোক জোগাড়ের চেষ্টা করছে। আকাশের আর এক নাম অসীম মন্ডল। সে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। মাও রাজ্য কমিটির একমাত্র জীবিত সদস্য সে। আকাশ মাওবাদীদের রাজ্য সেক্রেটারি বলেও জানা গিয়েছে।