সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে ঝাড়গ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ মাওনেতা সন্তোষের
সমাজের মূল স্রোতে ফেরার ইচ্ছা নিয়ে আরও এক মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম আদালতে শুক্রবার আত্মসমর্পণ করেন সন্তোষ পাত্র।
ঝাড়গ্রাম, ১৮ ফেব্রুয়ারি : সমাজের মূল স্রোতে ফেরার ইচ্ছা নিয়ে আরও এক মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম আদালতে শুক্রবার আত্মসমর্পণ করেন সন্তোষ পাত্র নামে এক মাওবাদী নেতা। এই সন্তোষ পাত্রের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। জনসাধারণ কমিটির নেতা হিসেবে তিনি কাজ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ছিল।[নোট বাতিলে ধাক্কায় একলাফে ৪৬৯ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণ পুলিশের কাছে]
লালগড়ের দারিগোড়িয়ার বাসিন্দা এই সন্তোষ। পুলিশ অত্যাচারের বিরুদ্ধে একটা সময়ে গর্জে উঠেছিল মাওবাদী নেতা সন্তোষ। ২০০৭ সাল থেকে তিনি সক্রিয় হন জনসাধারণ কমিটিতে। একটা সময়ে তাঁকে কোষাধ্যক্ষও করা হয়। লালগড়ের ছোটো পেলিয়া গ্রামে পুলিশ অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। তারপর তা ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো জঙ্গলমহলে।[ফি বছর ১৪০ কোটি টাকা তোলা আদায় মাওবাদীদের: কেন্দ্র]
এছাড়া সন্তোষের বিরুদ্ধে বহু নাশকতা ছড়ানোর অভিযোগ ছিল। এমনই এক মাও নেতার আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। জঙ্গলমহলে যৌথ অভিযান চালানোর সময় থেকেই অনেকের মতো এই মাও নেতাও আত্মগোপন করেছিলেন। এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে ডাক দেওয়া হয়েছিল, যাঁরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চান, তাঁরা আত্মসমর্পণ করুন। তারপরই ঝাড়গ্রাম আদালতে গিয়ে সন্তোষ আত্মসমর্পণ করেন।
কিছুদিন আগে কলকাতায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মাওবাদী স্কোয়াডের দুই সদস্যও।