ভোটে হারার পর বিজেপির বৈঠকেও গরহাজির, জল্পনার তালিকায় চমকে ওঠার মতো নাম
একুশের বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে এসে তাঁদের মধ্যে অনেকে ভরাডুবি হয়েছেন ভোট ময়দানে। এই অবস্থায় অনেক বিজেপি নেতা দলের বৈঠকে আসছেন না। গরহাজির থাকছেন।
একুশের বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে এসে তাঁদের মধ্যে অনেকে ভরাডুবি হয়েছেন ভোট ময়দানে। এই অবস্থায় অনেক বিজেপি নেতা দলের বৈঠকে আসছেন না। গরহাজির থাকছেন। তাঁদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন হেভিওয়েট অনেকেই।
বিধায়ক হতে না পারা নেতারা আবার বেঁকে বসেছেন
বিজেপি এবার পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে ভোট ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু তাঁদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার স্বপ্নপূরণ হয়নি। ২০০ আসনের টার্গেট নিয়ে ভোটে নেমে তাঁরা আটকে গিয়েছে মাত্রা ৭৭-এ। তা থেকে আবার বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫। এরপর বিধায়ক হতে না পারা নেতারা আবার বেঁকে বসেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের আভাস।
জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছিলেন দিলীপ
একুশের ভোটে জিতে পরিবর্তনের সরকার গড়ার আশায় বিজেপির হেস্টিংস অফিস জমজমাট থাকত নেতা-নেত্রীদের আগমনে। এখন ঝাঁ-চকচকে সেই অফিসে ডাকলেও পাওয়া যাচ্ছে না নেতাদের। জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য হেস্টিংস অফিসে বৈঠক ডেকেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
প্রথম সারির অধিকাংশ নেতাই অনুপস্থিত বিজেপির বৈঠকে
দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম সারির অধিকাংশ নেতাই অনুপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। পাঁচজন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মাত্র দু-জন উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। সায়ন্তন বসু ও সঞ্জয় সিং ছাড়া বাকিদের দেখা মেলেনি। আর ১২ জন সম্পাদকের মধ্যে ছিলেন জনা চারেক।
যাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিশেষ করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে
এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রথীন বসুরা। অনুপস্থিতির তালিকায় উল্লেখয়োগ্য নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, ভারতী ঘোষের। তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিশেষ করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ কী তাও স্পষ্ট নয়।
বিজেপির অন্দরেও অনেক কথা শোনা যাচ্ছে
এই অনুপস্থিতি নিয়ে শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, দলের অন্দরেও অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। বিজেপির একাংশের দাবি, অনেকেই দলে এসেছিলেন শুধু বিধায়ক হতে। ভোটে হেরে যাওয়ার পর তাই তাঁদের দেখা মিলছে না। তাঁদের সঙ্গে দেখা করাও যাচ্ছে না। এমনকী বিজেপির রাজ্য নেতারাও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না বলে খবরে প্রকাশ।