ফের বিষমদের বলি ৭, শান্তিপুর-কাণ্ডে ১১ জন সাসপেন্ড, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের
ফের বিষমদ-কাণ্ড বাংলায়। এবার বিষমদ-কাণ্ডে মৃত্যু হল নদিয়ার শান্তিপুরের সাতজনের। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ফের বিষমদ-কাণ্ড বাংলায়। এবার বিষমদ-কাণ্ডে মৃত্যু হল নদিয়ার শান্তিপুরের সাতজনের। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চারজনের মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার শান্তিপুরে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক চোলাই বিক্রেতারা।
নদিয়ার শান্তিপুরের নিশ্চিন্তপুর চৌধুরীপাড়ায় রমরমিয়ে চলছে চোলাই ভাটি। রাতদিন সেখানে চোলাই বিক্রি হচ্ছে। সেই চোলাই খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ছ-জন পুরুষ ও একজন মহিলাও রয়েছেন। মৃতরা হলেন, দুলারতান মাহাতো, ভালোয়া মাহাতো, বুটো মাহাতো, কাশীনাথ মাহাতো, গৌতম শর্মা ও মুন্না রাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে বহুবার পুলিস-প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। মূলত খেটে খাওয়া মানুষ দিনের শেষে সব খরচ করে ফেলে মদের ভাটিতে। তা নিয়ে ক্ষোভ-উত্তেজনা ছিল। এখন মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সেই ক্ষোভ দ্বিগুণ হয়েছে। পুলিশের কাছেও চ্যালেঞ্জ এই ঘটনা। তার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন পরেই দুই বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে আসছেন।
এদিকে শান্তিপুর বিষমদ-কাণ্ডের পরই রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। সাসপেণ্ড করা হয়েছে আবগারি দফতরের আধিকারিক-সহ ১১ জনকে। পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু দু-লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র নবান্নে এই ঘোষণা করেন।