অন্যায়ের প্রতিবাদ! নিজের প্রতীক নিয়ে আর যা বললেন 'প্রাক্তন তৃণমূলী' সিঙ্গুরের মনোরঞ্জন মালিক
দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর পর এবার প্রতীক নিয়ে চর্চার কেন্দ্রে সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ঘাসফুল প্রতীক না পেয়ে গাড়ি প্রতীক চিহ্ন নিয়ে তৃণমূলকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন মনোরঞ্জন মালিক।
যে গাড়ির বিরুদ্ধে এক সময় লড়াই করেছিলেন মনোরঞ্জন মালিক, সেই গাড়িকেই প্রতীক হিসেবে বেছে নিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা, বিশেষ করে শাসক বিরোধীদের কটাক্ষ, একসময় যে মোটরগাড়ির কারখানার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন মনোরঞ্জন মালিক, এই প্রতীক চিহ্ন বেছে নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, সেই আন্দোলন ভুল ছিল।
তবে নিজের প্রতীক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে অবশ্য বিশেষ কিছু বলেননি মনোরঞ্জন মালিক। শুধু বলেছেন, ওটা ছিল ন্যানো। এটা এমনি গাড়ি। আর তাঁকে ভোট দিয়ে মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে।
হুগলি জেলাপরিষদের চার নম্বর আসন থেকে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক। ২০০৬ সালে টাটাদের সিঙ্গুর প্রোজেক্ট এরিয়ার মধ্যে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল তাপসী মালিককে। সেই সময় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে মনোরঞ্জন মালিক ছিলেন তৃণমূলের সঙ্গেই। সেই থেকে সিঙ্গুরের সঙ্গে তাপসী মালিকের পরিবারের নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে যায়।
সেই হুগলির সিঙ্গুরে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক। অন্তত এমনটাই অভিযোগ জেলা তৃণমূলের একাংশের। মনোরঞ্জন মালিকের অভিযোগ, মেয়ের খুনি দেবু মালিকের ভাইপোকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে। সেই জন্য তিনি দাঁড়িয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, দলের তরফে প্রথমে তাঁকে মনোনয়ন পেশ করতে বলা হয়। পরে বলা হয় মনোনয়ন তুলে নিতে। কিন্তু তিনি সেই কাজ করেননি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী তিনি। এদিকে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী তথা ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র জানিয়েছেন, দলে বেইমানদের স্থান নেই। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, মনোরঞ্জন মালিক নিজের ইচ্ছেয় দাঁড়িয়েছেন।