শুরু বিশ্বের বৃহত্তম গণ টিকাকরণ! দেশে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন পেলেন এইমসের সাফাইকর্মী
ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা টিকাকরণ শুরু হল৷ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন৷ এই বৃহৎ টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে দেশ জুড়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে৷ দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই সহ দেশের বড় শহরে করোনা যোদ্ধাদের প্রথম এই টিকাকরণের আওতায় আনা হচ্ছে৷ টিকাকরণের সব খরচ বহন করবে কেন্দ্র৷ এই আবহেই এদিন দেশের প্রথম ভ্যাকসিন পেলেন দিল্লি এইমসের সাফাইকর্মী।
মণীশ কুমার পেলেন দেশের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন
জানা গিয়েছে, দিল্লি এইমস হাসপাতালের সাফাই কর্মী মণীশ কুমার পেলেন দেশের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। মণীশ কুমার যখন এইমসে করোনা টিকা নিচ্ছেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন। ছিলেন দিল্লি এইমসের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। এইমস ডিরেক্টর গুলেরিয়াও এদিন ভ্যাকসিন নেন। করোনা টিকা নেন এইমসের প্রত্যেক চিকিৎসক ও নার্সরা।
অন্যদেশ শিখতে পারে ভারত থেকে
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশজুড়ে টিকা প্রচারাভিযানটি অন্যদেশে ক্র্যাশ কোর্সের মতো চালু করা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে৷ দেশে ১০.৫ লক্ষ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়৷ প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার জনের মৃত্যু হয় করোনায়৷ উন্নত দেশগুলিতে টিকাকরণের ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা এসেছে।
টিকাকরণ নিয়ে লজিস্টিকাল বাধা
জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত দেশগুলিতে করোনা ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ মজুত থাকা সত্ত্বেও অপ্রত্যাশিত বাধায় টিকাকরণের গতিকে ব্যাহত করেছে৷ অপ্রত্যাশিত কিছু সমস্যা এবং লজিস্টিকাল বাধা মার্কিন দেশেও টিকা দেওয়ার গতিকে বাধা দিয়েছে৷ এশিয়ার মধ্যে ভারত সবচেয়ে দ্রুত গণ টিকাকরণ করতে সমর্থ হল৷ যেখানে অন্যান্য দেশে গণ টিকাকরণের ক্ষেত্রে ধীর গতিতে চলেছে। ভারতের থেকে ওইসব দেশে করোনা সংক্রমণ অনেক কম হওয়ার জন্যও এই টিকাকরণে ধীর গতি এসেছে৷
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন, এই দুই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সিরামের কোভিশিল্ড ১ কোটি ১০ লক্ষ ও কোভ্যাক্সিন ৫৫ লক্ষ ইতিমধ্যে মজুত করা হয়েছে৷ এমন ব্যাপক আকারে টিকাকরণ ভারতের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। দেশ থেকে করোনাকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। প্রতিটি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে দিনে সর্বোচ্চ ১০০ জনকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে।