নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, আত্মসমর্পণ করলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্র
নয়া মোড় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, আত্মসমর্পণ করলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্র
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও পুত্র। আদালতের সমন পেয়ে শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির হন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছ্লে সৌভিক ভট্টাচার্য। আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলও।
এই ঘটনা নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে নয়া মোড় দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন ইডির করা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলে। আত্মসমর্পণ করেন তাপস মণ্ডলও। তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবীরা।
দিন দুয়েক আগে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে মানিক ভট্টাচার্যের উপরই সমস্ত দায় ঠেলে দেন তাপস মণ্ডল। মানিকের নির্দেশেই তিনি পড়ুয়া পিছু ৫ টাকা করে নিতেন বলে জানান। নিজাম প্যালেসে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাপস মণ্ডল জানান, মানিক ভট্টাচার্য টাকা দিয়েছেন কিন্তু রসিদ দেননি।
ইডির দেওয়া ১৫৯ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য়ের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের। ইডি দাবি করে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের নাম মোট ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কার হাত থেকে কার হাতে গিয়েছে, তা বোঝাতে একটি তালিকা তুলে ধরা হয়।
ইডি জানায়, মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ সঞ্চিতা ভট্টাচার্য ও হীরালাল ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। আরও অনেক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা গিয়েছে বলে ইডির দাবি। আরও যাদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা গিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য এবং তাঁদের প্রয়াত আত্মীয় মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও টাকা গিয়েছে পান্নালাভ ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে।
ইডির দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম ছিল তাপস মণ্ডলেরও। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলেজ প্রতি ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। প্রাথমিক পর্ষদের সভাপত মানিক ভট্টাচার্য পেতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। ইডি আরও দাবি করেছে। এই টাকা সংগ্রহ করতেন তাপস মণ্ডলই। পরে তা পাঠালেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। তারপর তা পৌঁছে যেত উপরমহলে। ইডির দফতরে বয়ান রেকর্ড করার সময় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেন তাপস মণ্ডল।
অমিত শাহ পূজারি নাকি মহন্ত, রামমন্দির নিয়ে পাল্টা নিশানা মল্লিকার্জুন খাড়গের