খুলছে পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণির সব হোটেল-লজ ও রিসর্ট
খুলছে পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণির সব হোটেল-লজ ও রিসর্ট
সরকারি নির্দেশ মেনে খুলছে পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণির সব হোটেল-লজ ও রিসর্ট।তবে দীঘা-শঙ্করপুর কিংবা তাজপুরের হোটেল-লজ এখনই খুলছে না। দীঘা-শঙ্করপুরের ব্যাপারে হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তাজপুরে আগামী ১৫ জুন থেকে সমস্ত হোটেল লজ খুলতে পারে বলে জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের হেরে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ এখানের হোটেল-লজ। লকডাউনে জোর ধাক্কা খেয়েছে জেলার উপকূলীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি পর্যটনশিল্প। তবে হোটেল-লজ খুললেই অবস্থা আগের মতো স্বাভাবিক হবে তেমন টাও নয় বলে অনেকেই মনে করছেন। করণ করোনা আতঙ্ক যেভাবে মানুষকে গ্রাস করেছে।
তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক টাই সময় লাগবে গত শনিবার মন্দারমণি কোস্টাল থানা, স্থানীয় কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েত এবং রামনগর¬-২ ব্লক প্রশাসনের কাছে হোটেল লজ খোলার ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সহযোগিতা চান মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা।
সকলের কাছ থেকেই সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়ার পরই হোটেল-লজ খোলার কথা ঘোষণা করা হয়। অবশ্য বেশ কয়েকদিন আগে থেকে হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তারা এব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে হোটেল বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান এক হোটেল কর্তা।
তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ এড়াতে বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মন্দারমণির হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন। ইতিমধ্যেই প্রতিটি হোটেল-লজে একদফা স্যানিটাইজড করা হয়েছে। স্যানিটাইজেশনের কাজ নিয়মিত চলবে। পর্যটক চলে যাওয়ার পর সেই রুমটি জীবাণুমুক্ত করার পরেই অন্যদের থাকতে দেওয়া হবে। হোটেলে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
যদি কোনও পর্যটকের সর্দি-কাশি প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয় কিংবা অসুস্থ থাকেন, তাহলে অগ্রিম বুকিং থাকলেও তাঁকে ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পর্যটক থেকে শুরু করে হোটেলকর্মী, সকলকেই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। একসঙ্গে আড্ডাও আর দেওয়া যাবে না।
সূর্যগ্রহণ ২১ জুন : ৩ টি পর পর গ্রহণ একমাসে! কেমন কাটবে সময়, জানাচ্ছে শাস্ত্র