হারের আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি! ‘মা অন্নপূর্ণা’কে কৃতিত্ব দিয়ে চোখে জল মানসের
সবংয়ে তাঁর বর্তমান দল তৃণমূল জিতলেও, তিনি নিজে হেরে গিয়েছেন স্ত্রী গীতারানি ভুঁইয়ার কাছে।তাই হারের আনন্দে চোখে জল মানসের।
মর্যাদার লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত জয় হয়েছে সবংয়ের ভূমিপুত্র মানস ভুঁইয়ার। তবু তিনি হারের আনন্দ উপভোগ করছেন বলে মন্তব্য করলেন। আসলে সবংয়ে তাঁর বর্তমান দল তৃণমূল জিতলেও, তিনি নিজে হেরে গিয়েছেন স্ত্রী গীতারানি ভুঁইয়ার কাছে। হারের ব্যবধানও বেশ জমকালো। তাই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই সবুজ আবির মাখা মানস মুখে হাসি নিয়ে বলে দিলেন হারের আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন:মানস প্লাস-মুকুল মাইনাস, সবং-যুদ্ধ দেখাল পঞ্চায়েতে বাংলার ভবিতব্যে কী আছে]
কংগ্রেসের বিশ্বারঘাতক তত্ত্ব, বিজেপির মুকুল-ফ্যাক্টর সব কিছুকেই ধুলোর মতো উড়িয়ে দিয়েছেন মানস ভুঁইয়া। সবং যে তাঁর গড় তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন মর্যাদার লড়াইয়ে। তবু এই বিপুল দয়ের পরও নিজে কৃতিত্ব নিলেন না, সব কৃতিত্ব দিলেন দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা অন্নপূর্ণার সঙ্গে তুলনা করেন।
মানস বলেন, 'মোদী থেকে মুকুল, কংগ্রেসের 'জগাই-মাধাই' মান্নানকুমার আর অধীরকুমার সবাইকে চিনে নিয়েছে বাংলার মানুষ। সবংয়ের মানুষ বাংলাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। এই জয় সবংয়ের মানুষের জয়, এই জয় বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। তিনি বাংলার মা অন্নপূর্ণা, তাঁর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের ফলেই এই সহজ জয় হয়েছে। সবংয়ের মানুষ তাঁকে দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও মানুষ তৃণমূলকে এইভাবে জয়যুক্ত করবেন।'
তবে এদিন বিপুল জয় পেলেও বিজেপির ভোট বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মানস। তিনি বলেন, 'এত ভোট পাওয়ার কথা নয় বিজেপির। বিজেপি কারচুপি করে ভোট পেয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।' বুথ টু বুথ পর্যালোচনা করা হবে বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য, বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপি, ছাপ্পার অভিযোগ তুলছিল, এখন সেই অভিযোগ তাঁদের দিকেই ঘুরিয়ে দিলেন মানস ভুঁইয়া।
তিনি এদিন আরও বলেন, 'আজ আমার বড় ভালো লাগছে যে, সবংয়ের মানুষ আমাকে এত ভালোবাসেন। আমার বিশ্বাস ছিল, সবং আমাকে নিরাশ করবে না। আজ আমার সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়েছে সবংয়ের মানুষ। সবংয়ের জন্য তাই আমি প্রাণপাত করব। সবংয়ের উন্নয়নই আমার এক ও একমাত্র লক্ষ্য।'
[আরও পড়ুন:সবং বিধানসভা উপনির্বাচনের অনেক এগিয়ে তৃণমূল]