তিনি নীতিভ্রষ্ট হননি! বিশ্বাসঘাতক প্রশ্নে সবং-যুদ্ধের আগে দরাজ ঘোষণা মানসের
মানস ভুঁইয়ার কথায়, ‘কোনও নীতিই তিনি ভাঙেননি। যখন যে দলে তিনি রয়েছেন, সেই দলের হয়েই কাজ করছেন।
এতদিনে মুখে খুললেন তিনি। সবং ভোটের আগের দিন দরাজ কণ্ঠে বলে দিলেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে তিনি নীতিভ্রষ্ট হননি। মানস ভুঁইয়ার কথায়, 'কোনও নীতিই তিনি ভাঙেননি। যখন যে দলে তিনি রয়েছেন, সেই দলের হয়েই কাজ করছেন। এভাবেই তিনি কাজ করে যাবেন আগামীদিনেও। বুধবার তিনি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন।
মাত্র ১৮ মাসের ব্যবধানে সবংয়ের কংগ্রেস দুর্গে ভোট হচ্ছে। আগের বার যিনি কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে হারিয়েছিলেন, তিনিই এখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে। তাঁর স্ত্রী এবার প্রার্থী স্বামীর নয়া দল তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সবং উপনির্বাচনে প্রার্থী। এখানেই উঠে পড়েছে প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে মানসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিএম-বিজেপিও মানস ভুঁইয়াকে বিশ্বাসঘাতক বলে প্রচার চালাচ্ছে। আর এই প্রচারেই পালে হাওয়া টানতে চাইছে তৃণমূল বিরোধী দলগুলি।
এতদিন তিনি এই প্রসঙ্গে মুখ না খুললে, সবং উপনির্বাচনের আগের দিন স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান। বলে দিলেন, 'আজ আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক। সেই দলের হয়েই সর্বস্ব দেওয়াই আমার নীতি। সেই কাজই আমি করছি। আমি কংগ্রেস ছিলাম। কিন্তু তা আজ অতীত। আমি আমার বর্তমানের জন্যই লড়াই চালাচ্ছি।
সবংয়ে টানটান উত্তেজনায় বৃহস্পতিবার ভোট। এখন মানসের পকেটের ভোট কাড়তে উঠে পড়ে লেগেছেন কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবারই পরিষ্কার হয়ে যাবে, সবং এখনও মানসের সঙ্গে, নাকি এবার মানসের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে তাঁর প্রিয় সবংবাসীরা। এখন ১৮ মাসের 'ক্লাইম্যাক্স' দেখার অপেক্ষায় দিন গুণছে পাহাড়।
সবংয়ের ময়দানেই মাত্র দেড় বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া। সেই মানসের মুখেই এখন মমতা সম্পর্কে গদ গদ কথা শোনা যাচ্ছে। এই উলটপুরানে সবংবাসী কোন মানসকে মেনে নেবেন, তারও বড় পরীক্ষা হবে বৃহস্পতিবার। নেত্রী মানসের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতেই তাঁকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করেছেন।
এখন তিনি সেই মর্যাদা রাখতে পারেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু উপনির্বাচনের আগের দিন দলবদলু বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না আদৌ। তাই শুনতে হল কটাক্ষ। কংগ্রেস তো মানসের কথাকেই প্রচারের মুখ করেছে। আর সেইসঙ্গে দলবদলের কটাক্ষও শোনাচ্ছে প্রতিনিয়ত।