বেকার যুবকদের নিয়ে দিদিভাই-এর নিষ্ঠুর পরিহাস! মমতাকে নোবেল দেওয়ার 'দাবি' তুললেন অধীর
পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করতে না পারুন, তাঁদের নিয়ে নিষ্ঠুর তির্যকতা করেছেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী
পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করতে না পারুন, তাঁদের নিয়ে নিষ্ঠুর তির্যকতা করেছেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতেও বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ।
'বাজার' করতে বেরনো টিমকে 'ঘাড়ে ধাক্কা'! পিকের কাজের পদ্ধতি 'ফাঁস' প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের
রাজ্যে বেকার কমেছে ৪০%, টুইটে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকারের উদ্দেশ্য হল বেকার সমস্যার সমাধান করা। পরিসংখ্যার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন রাজ্যের বেকারত্ব কমেছে। সারা দেশে যেখানে বেকারত্ব বেড়েছে ২৪ শতাংশ হারে, সেই জায়গায় রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ হারে।
নিষ্ঠুর পরিহাস করবেন না, বললেন অধীর
অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যের বেকার যুবকদের নিয়ে নিষ্ঠুর তির্যকতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজ যেন তিনি না করেন। অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেছেন, সারা পৃথিবীতে বেকারত্ব বাড়লেও, তা নাকি কমেছে পশ্চিমবঙ্গে। তিনি বিষয়টিতে দিদির যাদু বলে কটাক্ষ করেন। কেননা বাংলায় কাজ নেই বলেই অন্য রাজ্যে ছোট কাজ নিয়েই এই রাজ্যের যুবকরা চলে যান।
মাস কয়েক ফিরেছেন লক্ষ লক্ষ যুবক, অনেকে আবার ফিরেছেন
অধীর চৌধুরী বলেন, গত কয়েকমাসে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরেছেন লক্ষ লক্ষ যুবক। বাসে, সাইকেলে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী তাদের রাজ্যে ফেরাতে চাননি, করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আর বর্তমানে মমতার সরকার কাজের বন্দোবস্ত না করতে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফের বিভিন্ন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে নোবেল দেওয়ার দাবি তুললেন অধীর
যদি মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমাতে পারেন, তাহলে কেন বেকার যুবকরা অন্য রাজ্যে পাড়ি দেন, প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, দিদিভাইয়েরক এই কৃতিত্ব বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। সারা পৃথিবীতে যেখানে বেকারত্ব বাড়ছে, সেখানে বাংলায় বেকারত্ব কমছে কী করে, তার ওপর গবেষণা করে, দিদিভাইকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।