'যে হারে সবাইকে জেলে পাঠানো হচ্ছে,তাতে আমিও প্রস্তুত হচ্ছি', একথা মুখ্যমন্ত্রীর মুখে?
কলকাতা, ১ ফেব্রুয়ারি : এবার সিবিআইকে ব্যবহার করে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, মমতার অভিযোগ দলে ভাঙন না ধরালে জেলে যেতে হবে বলে মুকুল রায়কে চাপ দিয়েছে।
সূত্রের খবর, কলকাতায় তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে মমতা নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দলের অন্দরে এবার দোলাচাল শুরু হবে, কিছু অংশে বিদ্রোহ দানা বাধবে বলে ধারণা মমতার। আর তাঁর মতে এর জন্য দায়ি বিজেপি। বিজেপিই সিবিআইকে হাতিয়ার করে দলে ভাঙন ধরানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে।
কোর কমিটির বৈঠকে বহু নেতাকেই মমতা জানিয়েছেন, "বিজেপি সিবিআইকে ব্যবহার করে করে মুকুল রায়কে চাপে রাখতে চাইছে। ওরা মুকুল রায়কে চাপ দিচ্ছে, নয় সিবিআই-এ সঙ্গে সহযোগিতা কর আর নয়তো জেলে যাও বলে।"
আবার ঘণিষ্ঠ মহলে মমতা নাকি একথাও জানিয়েছেন, "আমি জানি না সিবিআই মুকুলকে কী প্রশ্ন করেছে, কিন্তু ওর মুখ দেখে আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি ও চাপে আছে।"
শুক্রবার মুকুল রায়কে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে তিন দফায় জেরা করে সিবিআই। জেরার পর বেরিয়ে এসে মুকুল জানান, "আমি চাই সত্য উগঘাটন হোক। সিবিআইকে সবরকমের সহযোগিতা করব। ডাক পড়লে আবারও আসব।" যা আপাতভাবে দলের অবস্থানের বিপরীত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই বৈঠকে শুধু মুকুল নয়, কথা হয়েছে, তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারির প্রসঙ্গেও। খবর অনুযায়ী, দলে খুশি নন শুভেন্দুও। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, "বিজেপি শুভেন্দুকে বলেছে নয় বিজেপিতে যোগ দাও নয়তো জেলে যাও। জেলে যাওয়ার ভয় পেয়োনা শুভেন্দু। দল তোমার পাশেই আছে।"
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন মমতার মুখে এও শোনা যায় যে, "যে হারে লোকজনকে জেলে পাঠানো হচ্ছে তাতে আমিও যে কোনও দিন জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।"
এদিকে এদিনই ডেরেক ও'ব্রায়েনের নেতৃত্বে সাংসদদের একটি দল রাজ্যসভার চেয়ারপার্সনের কাছে অভিযোগ জানান, কীভাবে তৃণমূলের সাংসদদের হেনস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যসভায় শাসকদলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে, বিজেপি এসব করছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল।