কপ্টার বিতর্কে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে, নীরবতা ভঙ্গ করে এবার সোজাসাপ্টা না
কপ্টার বিতর্কে ফের সংঘাত তীব্র হল রাজ্য ও রাজ্যপালের। তাই রাজ্যপাল বার্তা দিলেন, তিনি কপ্টার না পেলে সড়কপথেই যাবেন মুর্শিদাবাদ। ২০ নভেম্বর তাঁর মুর্শিদাবাদ যাওয়ার কথা। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে। সেই কারণেই তিনি রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন।

রাজ্য প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়. রাজ্যপালকে হেলিকপ্টার দেওয়া যাবে না। কারণ ওইদিন হেলিকপ্টার উপলব্ধ নয়। তারপরই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। এর আগেও তিনি হেলিকপ্টার চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি।
রাজ্যের কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা সড়ক পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করার পরই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম না কেরই রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন। তৃণমূল অভিযোগ জানায়, রাজ্যপাল সমান্তরাল শাসন চালাচ্ছেন।
রাজ্যপাল আবার দাবি করেন, রাজনীতির সঙ্গে প্রশাসনকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। এটা করলে গণতন্ত্রের ক্ষতি। রাজ্যবাসীর সেবা করতে গেলে সব জায়গায় যেতে হবে। আমি যাব। যেখানে প্রযোজন হবে সেখানেই যাব। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে যখন সংসদে অভিযোগ করেছে তৃণমূল, তখন ফের একবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দিলেন তিনি পিছপা হচ্ছেন না তাঁর কাজ থেকে। মানুষকে পরিষেবা দিতে গেলে সর্বত্রই যেতে হবে।
রাজ্যপাল বলেন, কোথাও যেতে কারও অনুমতি প্রয়োজন নেই। যেখানে দরকার মনে করব, সেখানেই আমি যাব। এটা আমার অধিকার। আমাকে এই অধিকার দিয়েছে ভারতের সংবিধান। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে আমি যেতে পারি। প্রথম রাজ্যপাল হিসেবে দুই ২৪ পরগনায় গিয়েছি। সবাইকে জানিয়েই সব জায়গায় যাচ্ছি, অন্য জেলাতেও যাব।