স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য সুখবর, তিন মাস ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাতীত ঘোষণা
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে ঋণ নেওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের যখন কিস্তা জমা দিতে অনেক ক্ষেত্রে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তখন সমবায় ব্যাঙ্ক এক তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে ঋণ নেওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের যখন কিস্তা জমা দিতে অনেক ক্ষেত্রে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তখন সমবায় ব্যাঙ্ক এক তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। তারা সিদ্ধান্ত নিল, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তিন মাস কোনও ঋণের কিস্তি দিতে হবে না। ফলে লকডাউনের মধ্যে স্বস্তি মিলল মহিলাদের।
সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি
রাজ্যে ৯ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। তার মধ্যে দু-লক্ষের সামান্য বেশি রাজ্য সমবায় দফতরের আওতাধীন। সমবায় বাদে বাকি দফতরের অধীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গেও যুক্ত অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এই অবস্থায় সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় ঋণগ্রহীতাদের জন্য স্বস্তির ঘোষণা করলেন।
সমবায় ব্যাঙ্কে বিশেষ সুবিধা
সমবায় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তাঁদের ব্যাঙ্কের আওতাধীন দু-লক্ষ পাঁচ হাজার গোষ্ঠীর মধ্যে ঋণ নিয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ। প্রতি গোষ্ঠীতে ১০ জন করে রয়েছেন। অর্থাৎ সাড়ে ১৬ লক্ষ মানুষ সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তাঁরাই এই বিশেষ সুবিধা পাবেন। উল্লেখ্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা যে পরিমাণ টাকা জমান, তার ছয়গুণ টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রয়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের বিপরীত পথে
১১ শতাংশ সুদের হারে তাদের ঋণ প্রদান করে ব্যাঙ্ক। তার মধ্যে সাত শতাংশ সুদ দেয় রাজ্য বাকি চার শতাংশ দেন ঋণগ্রহীতারা। সমবায় ব্যাঙ্ক এই লকডাউন পরিস্থিতিতে ঋণের কিস্তি না নেওয়ার কথা জানালেও, রাষ্ট্রয়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক সেই সুবিধা দিচ্ছে না। উল্টে তারা কিস্তির টাকা চাইছে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে।
অন্য ব্যাঙ্কের স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিপাকে
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণের তিন মাসের কিস্তির টাকা না নেওয়ার কথা নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অধিকাংশ ব্যাঙ্কই সুদের ফিরিস্তি সামনে আনে। সুদের সুদ গোনার ভয় দেখিয়ে ঋণের কিস্তি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে ব্যাঙ্কের তরফে। ফলে বিপাকে পড়েছেন ঋণগ্রহীতারা।