রাজনাথ-মমতা আলোচনারই সার, রাতেই দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি
মঙ্গলবার রাতেই দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ফের দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মধ্যে আলোচনার কোনও সুফল আপাতত মিলল না। বাধ্য হয়েই ডিভিসি বারবার জল ছেড়ে এরাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে ফের অভিযোগ উঠে গেল। মঙ্গলবার রাতেই দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ফের দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। একইসঙ্গে জারি করা হয়েছে সতর্কতাও।
এর পাশাপাশি তিস্তা ব্যারাজ, তিলপাড়া ব্যারাজ, পাঞ্চেত, চাণ্ডিল, গালুডি ব্যারাজ থেকেও নিত্যদিন জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামিদিনে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি লাগাম ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার নয়া রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরামর্শ দেন। রাতে রাজনাথের সঙ্গে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি ও ডিভিসির না বলে জল ছাড়া নিয়ে আলোচনা হয় রাজনাথ-মমতার।
এর আগে জল ছাড়া নিয়ে রাজ্যের তরফে ঝাড়খণ্ডে ফোন করা হয়। সেখানকার সরকারের কাছে কম জল ছাড়তে অনুরোধ জানানো হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে ঝাড়খণ্ড সরকারের মুখ্যসচিবকে ফোন করে অনুরোধ করেন, অবিলম্বে জল ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে। ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির কারণে যে হারে জল ছাড়া হচ্ছে তাতে এ রাজ্যও ভেসে যেতে পারে। তাই জল নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানায় মমতার সরকার।
একইসঙ্গে ডিভিসিকেও চিঠি লিখে বিষয়টি জানানো হয়। তবে ডিভিসি জানিয়ে দেয়, তাঁরা নিরূপায়। ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাটে এত বেশি পরিমাণ জল হচ্ছে যে, দুর্গাপুর ব্যারেজের পক্ষে সেই জল ধারণ করে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই উপায় না দেখে একাধিকবার জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে তাঁরা।
বাঁকুড়া শহর ডুবে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদীর জলে। জল বইছে সতীঘাট সেতুর উপর দিয়ে। তারপর হুগলির খানাকূলে রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়ে গিয়েছে। এবার বন্যার আশঙ্কা অন্য জেলাগুলিতেও। বর্ষার হলেই ডিভিসি জল ছাড়ে। ফলে এবার দামোদরের জলে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।