মমতা-মুকুল-মদনই 'ষড়যন্ত্রী', আদালতে তোপ কুণাল ঘোষের
শ্রীরামপুর থানায় রুজু হওয়া কেস নম্বর ১২৬/১৪ অনুযায়ী সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ এবং মনোজ নাগলেকে মঙ্গলবার দুপুরে হাজির করানো হয়েছিল আদালতে। পাছে কুণাল ঘোষ কিছু 'বেফাঁস' বলে দেন, সেই ভয়ে ইদানীং রাজ্য পুলিশ অতি সর্তক। শ্রীরামপুর আদালতের সামনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়, যাতে কুণাল ঘোষের কাছে সাংবাদিকরা পৌঁছতে না পারেন। প্রিজন ভ্যান থেকে কুণালবাবুকে নামিয়ে কার্যত বলয় তৈরি করে ফেলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের ভিতরে। বিচারক মন্দাক্রান্তা শায়ের এজলাসে তাঁকে তোলা হয়। কুণাল ঘোষের আইনজীবী যতন রায় বিচারককে বলেন, তাঁর মক্কেল কিছু বলতে চান। বিচারক তাতে অনুমতি দেন।
এর পরই কুণাল ঘোষ বলেন, "একের পর এক মিথ্যে মামলায় আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি রাজনীতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার মুখ কীভাবে বন্ধ রাখা যায়, তার চেষ্টা হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছেন মুকুল রায়, মদন মিত্র, এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।"
কুণালবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতেই এজলাসের ভিতরে থাকা আইনজীবীরা রে-রে করে তাঁর দিকে তেড়ে যান। আইনজীবীদের হইহট্টগোলের জেরে কুণাল ঘোষ আর কিছু বলতে পারেননি। বিচারক পরিস্থিতি শান্ত করেন।
জনৈক আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "উনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছিলেন। ওঁর কথায় রাজনীতির গন্ধ ছিল, আইনি সারবত্তা ছিল না। তাই আমরা কয়েকজন মিলে প্রতিবাদ করেছি। এটা আদালত। রাজনীতিক দলের মঞ্চ নয় বা ওঁর চ্যানেলের স্টুডিও নয়।"
এই মামলায় কুণাল ঘোষ ও বাকি দু'জনকে ফের ১৭ জুন শ্রীরামপুরে আদালতে তোলা হবে।