আরও বড় মঞ্চে তৃণমূল যুবরাজের 'অভিষেক', ডাল কাটা হল 'মুকুল'-এর!
ভাইপো অভিষেককে আরও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী করে তুলতে সাংগঠিক স্তরে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়। এই ভাইপো অভিষেককে রাজনীতির মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য যুব তৃণমূলের পাশাপাশি যুবা নামে একটি শাখা খুলে দিয়েছিলেন মমতা। এবার সেই যুবা-কেই যুব তৃণমূলের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে তার দায়িত্বে আনলেন 'অনভিজ্ঞ' অভিষেককেই। সাংসদ হওয়ার চার মাসের মধ্যেই যেভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিযেককে নিয়ে এলেন মমতা, তাতে বিরোধীদের কটাক্ষ আগামী দিনের পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী।
অভিষেকের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি রদবদল রয়েছে যা পরোক্ষভাবে অভিষেকের পক্ষে যাবে এবং প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূলের দ্বিতীয় শক্তিশালী নেতা মুকুল রায়ের বিপক্ষে গিয়েছে। মুকুল রায়ের ঘণিষ্ট বলে পরিচিত নেতাদের দলে গুরুত্ব কমিয়ে আসলে মমতা মুকুল রায়েরই ডানা ছাঁটলেন বলে মনে করছেন বিরোধীরা। যুব তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খানকে যে মুকুল রায়ই দলে এনেছিলেন তা কারও অজানা নয়। কয়েক মাস আগেই তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার মুকুল ঘণিষ্ঠ সৌমিত্রতে সরিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব-র দায়িত্বে নিজের ভাইপোকে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু সৌমিত্র নয়, মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু যুব তৃণমূলের যে কমিটির কার্যকরী সভাপতি ছিলেন তাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আর একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যসভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডাকেও (যিনি দলে মুকুল ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত) সরানো হয়েছে দায়িত্ব থেকে। সেই জায়গায় আনা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য অশোক রুদ্রকে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে সারদা কাণ্ডের পর থেকেই দলনেত্রীর আস্থা হারাতে শুরু করেছেন মুকুল। মুকুল ঘণিষ্ঠ নেতাদের গুরুত্ব খর্ব করে মুকুলের কাছে তথা রাজ্যবাসীর কাছে সে বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। মুকুল যে নিজের করুণ পরিণতির ভবিষ্যতটা ভালই দেখতে পাচ্ছেন তা শুক্রবার ধরা পড়েছে মুকুলের হাবেভাবেই।