মমতা প্রার্থী হলে এজেন্ট হবেন কে, মুকুলই এগিয়ে এলেন সমর্থন দিতে, জমে গেল ভোট
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে এক সঙ্গে লড়বেন মমতা আর মুকুল। জোট বেঁধেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে লড়াইয়ে নেমেছেন তাঁরা।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে এক সঙ্গে লড়বেন মমতা আর মুকুল। জোট বেঁধেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে লড়াইয়ে নেমেছেন তাঁরা। মমতা যখন প্রার্থী হয়েছেন, তখন মুকুল হয়েছেন তাঁর এজেন্ট। তবে ভুলেও ভাববেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুকুল রায় ফের এক জোট হয়েছেন বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করতে।
[আরও পড়ুন: বর্ষবরণের রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, কালবৈশাখীর দাপটে মন্দিরের চূড়া ভেঙে মৃত্যু]
আসলে এবার জঙ্গলমহলে তৃণমূল এবার এমন একজনকে প্রার্থী করেছে জেলা পরিষদে, যা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ২০ নম্বর আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের মমতা মুর্মু। ২১ বছরের মমতা মুর্মু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এই 'কন্যাশ্রী'কে এবার জেলা পরিষদে প্রার্থী করে চমক দিয়েছে তৃণমূল।
ক্ষেতমজুর পরিবারের মেয়ে। কোনওরকমে সংসার চলে। মমতার বাবা তারাপদবাবু কংগ্রেসি ঘরানার। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। এমনকী ঘোর সিপিএম আমলেও তিনি তৃণমূলের হয়ে লড়াই চালিয়েছেন। এবার তাঁর কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিতেই তারাপদবাবু এক কথায় রাজি।
আর এই মমতা মুর্মুরই নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন মুকুল সামন্ত। মুকুলবাবু বলেন, 'দলের সম্মতি নিয়েই মমতাকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর তাঁকে প্রার্থী করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের দলে যে পদলোভী নয় কেউ, যোগ্য প্রার্থীর উপরই আমরা দায়িত্ব দিতে চাই, আর সবাইকে সুযোগ দেওয়াই যে আমাদের লক্ষ্য, তা প্রমাণ হল এই সিদ্ধান্তে।'