মুখ্যমন্ত্রী নয়, তৃণমূল নেত্রীকে শোকজ করা হয়েছে! তাই জবাবও মমতা দেবেন, মুখ্যসচিব নয় : কমিশন
কলকাতা, ১৮ এপ্রিল : ভোটের প্রচারে বর্ধমানে গিয়ে আসানসোলকে পৃথক জেলা ঘোষণা করার কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্য করে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন মমতা, এই বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে নোটিশ যায় নবান্নে। [নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে মমতার জবাব, মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন]
সরকারিভাবে সেই নোটিশের জবাব পাঠান মুখ্যসচিব। আর এই জবাব ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীরা প্রশ্ন করেন, তৃণমূল নেত্রীকে পাঠানো নোটিশের উত্তর কীভাবে সরকারি আমলা দেন। তবে কি সরকার তৃণমূলের হয়ে কাজ করে তা এবার প্রকাশ্যেই জাহির করতে শুরু করে দিয়েছে?
যদিও নবান্নসূত্রের দাবি ছিল, চিঠিতে কোথাও তৃণমূল নেত্রী বলে উল্লেখ করা হয়নি, চিঠিতে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়তে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আসা চিঠির জবাব মুখ্যসচিব দিতেই পারেন।
যদিও এই দাবি মানছে না কমিশন। কমিশনের তরফে নবান্নে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চিঠিটি কোনও সরকারের প্রধান হিসাবে মমতাকে শোকজ করা হয়নি। শোকজ করা হয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে। তাই শোকজের জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই দিতে হবে।
বিরোধীরা অবশ্য কমিশনের এটুকু পদক্ষেপেই খুশি নয়। বিরোধী দলগুলির একাংশের দাবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকজের জবাব কেন সরকারি আমলা তথা মুখ্যসচিব দেবেন। এই বিষয়ে মুখ্যসচিবের কৈফিয়ৎও তলব করা উচিত কমিশনের।