মমতার নিশানায় ওয়েইসির পর এবার ভিনরাজ্যের আরও এক দল!ভোটব্যাঙ্ক ঘিরে চূড়ান্ত তোপ তৃণমূল সুপ্রিমোর
নাম না করে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বিরুদ্ধে ভিন রাজ্য থেকে 'টাকা থলি' নিয়ে ভোট ব্যাঙ্ক কেনবার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একবার নয় একাধিকবার এই ইস্যুতে আসাদউদ্দিনকে নাম না করে 'বিজেপির দালাল' বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার সেই একই অভিযোগ তুলে মমতা নিশানায় বিঁধলেন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টিকে।

আসাদউদ্দিনের পর দিশম পার্টিকে তোপ
আসাদউদ্দিনের বিরুদ্ধে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা । এবার সেই একই সুরে উপজাতি ও আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর অভিযোগ তিনি তুলেছেন ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির বিরুদ্ধে। উত্তর মালদার এক সরকারি সভায় মমতা প্রশ্ন তোলেন কেন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির আয়োজিত বিক্ষোভ আন্দোলনকে সামলাতে পারছে না জেলা প্রশাসন? এনিয়ে তিনি পুলিশ সুপারকে নিশানা করতেও ছাড়েননি। প্রসঙ্গত, একটা মহলের ধারণা, মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক নিজের দিকে টেনে আওয়েইসি তৃণমূলের ভোটার সংখ্যায় থাবা বসাচ্ছেন। সেই হিসাবেই যদি উপজাতি ভোটব্যাঙ্কে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি থাবা বসায় তাহলে ২০২১ ভোটে 'অ্যাডভান্টেজ বিজেপি'!

মালদায় মমতা
এদিন, মালদার প্রশাসনিক সভায় পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সুরে বলেন, এবার কড়া হাতে যেন তিনি পরস্থিতির মোকাবিলা করেন। কিভাবে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে? সেই প্রশ্নই এদিন পুলিশ সুপারের কাছে রাখেন মমতা। মমতা সাফ জানিয়ে দেন যে, ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির কোনও ক্ষোভ থাকলে, তারা তা ঝাড়খন্ড গিয়ে করুক। বাংলায় এসব চলবে না।

বিজেপির খগেন মুর্মুর জয় ও ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি নিয়ে ঘাসফুলের আশঙ্কা
মালদায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির প্রভাব বেড়ে চলা নিয়ে আলোচনার আগে দেখে নেওয়া যাক মালদার ভোট রাজনীতিতে এই পার্টির বিস্তার ও বিজেপির উত্থানের তত্ত্ব। মালদা উত্তর আসনে এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের মৌসম নূরকে হারিয়ে যুদ্ধ জিতেছেন খগেন মুর্মু। গনি খান পরিবারের পোক্ত ঘাঁটি মালদাতে খান পরিবারের সদ্যসের এই হারের নেপথ্যে উপজাতি ভোটব্যাঙ্ক বড় ফ্যাক্টর ছিল। সেদিক দিয়ে খগেন মুর্মুর সপক্ষে ঝাড়খম্ড দিশম পার্টির প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল বলে জাবি তৃণমূলের।

মালদায় ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির ক্রমবর্ধমান দাপট
গত কয়েক মাস ধরে মালদা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের একাধিক জায়গায় দিশম পার্টির পক্ষ থেকে বহু বিক্ষোভ অভিযান আয়োজিত হয়। যা তৃণমূলের কাছে শঙ্কার কারণ হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশের জেরেই গেরুয়া শিবিরের সমর্থনে এই বিক্ষোভ আন্দোলন মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। যা মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে মমতা শিবিরের।
শিবসেনার বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করলে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকি