স্বৈরাচারী বিজেপিকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত থামবেন না! চ্যালেঞ্জ নিলেন মমতা
স্বৈরাচারী বিজেপিকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত থামবেন না! চ্যালেঞ্জ নিলেন মমতা
বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়াইয়ের পথ ঠিক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেয়েও সেই লড়াই থেমে যায়নি। আসন্ন পুরসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা তো বটেই, কেন্দ্রের সরকারকে হারানো না পর্যন্ত থামবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লড়াই আজও যেমন চলছে, তেমনি চলতেই থাকবে।
স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় দিন
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মমতা বলেন, কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর লড়াই থামবে না। বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরিয়েই তিনি থামবেন। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হঠাতে বাংলাই পথ দেখাবে। বাংলার নেতৃত্বেই দিল্লি থেকে মোদী শাসনের অবসান ঘটবে।
বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিন
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে তিনি তাঁর দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, এই দলে সেইসব নেতা-কর্মীদের দরকার যাঁরা নিজের স্বার্থের জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করবেন। দলকে ভালোবাসতে হবে। দলকে ভালোবেসে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাহলেই বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে।
পুরনোরা নতুনদের পথ দেখান লক্ষ্যপূরণে
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একতা জরুরি। সবাইকে এক হতে হবে। এই মর্মেই তিনি দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের মূলস্রোতে ফিরে আসার ডাক দিয়েছেন। মমতার আহ্বান, মান-অভিমান ভুলে পুরনো নেতা-কর্মীরা ফিরে আসুন মূলস্রোতে। আপনারা হাল ধরুন দলের, নতুনদের পথ দেখান লক্ষ্যপূরণে।
পুরনো ও নতুন সবার উদ্দেশ্যে বার্তা
মমতা পুরনো ও নতুন সবার উদ্দেশ্যেই বলেন, অহঙ্কার আর ঔদ্ধত্য দূরে সরিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের দলে ওই দুই শব্দের কোনও স্থান নেই। যাঁরা তা পারবেন না, তাঁরা আসতে পারেন। আমরা শুধু তাঁদের নিয়েই চলব, যাঁরা তৃণমূলকে ভালোবাসে, ভালোবাসে মানুষকে। যাঁরা বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
'বিজেপি ২৩-২৫ কোটি টাকায় কংগ্রেস বিধায়কদের কিনতে চাইছে', মধ্যপ্রদেশ নিয়ে ক্ষোভ দিগ্বিজয়ের