বিজেপি সমর্থিত সরকারকে কংগ্রেসের সমর্থনে নতুন সমীকরণ! গর্জে উঠে কী বললেন মমতা
মেঘালয়ে কংগ্রেসকে ভেঙে তৃণমূল বিরোধী আসনে বসেছে। এরপর অস্তিত্বরক্ষায় কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের বার্তা দিতেই জুটল বেইমানি আখ্যা।
মেঘালয়ে কংগ্রেসকে ভেঙে তৃণমূল বিরোধী আসনে বসেছে। এরপর অস্তিত্বরক্ষায় কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের বার্তা দিতেই জুটল বেইমানি আখ্যা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে নিশানা করে বললেন, সকলে দেখলেন তো কংগ্রেস কী করল! এই বলে তিনি মহা-বেইমান হিসেবে ব্যাখ্যা করলেন কংগ্রেসকে।
কংগ্রেস ভাঙার পর বেইমান তকমাও দিলেন মমতা
কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা মুকুল সাংমা সম্প্রতি ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে কংগ্রেসের পরিষদীয় দল ভেঙে যায়। কংগ্রেসের পরিবর্তে তৃণমূল রাতারাতি বিরোধী দলে পরিণত হয় মেঘালয়ে। এই পরিস্থিতিতে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের বার্তা দেয় কংগ্রেস। তা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেস মহা বেইমান, কারণ ব্যাখ্যা মমতার
মেঘালয়ে বিজেপি সমর্থিত এনপিপি সরকারকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। এই সমর্থনের বার্তাতেই তৃণমূল অন্য সমীকরণের গন্ধ পেয়েছে। বিজেপির বিরোধিতায় কংগ্রেস যে ব্যর্থ তা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকেই ফের প্রধান বিরোধ হিসেবে তুলে ধরেন। আর কংগ্রেসকে আখ্যা দেন মহা বেইমান।
তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল, এনপিপিকে সমর্থন কংগ্রেসের
কনরাড সাংমার এনপিপি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দীর্ঘদিন। নর্থ-ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সঙ্গে এনপিপি জোট করে সরকার গড়ে। কংগ্রেস বিরোধী আসনে বসে। এখন কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল হওয়ায় নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস তাদের অবশিষ্ট শক্তি নিয়ে লড়াইয়ের জন্য নতুন সমীকরণ গঠন করতে চাইছে। সেজন্য এনপিপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের বার্তা দিয়েছে তারা।
কনরাড সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের সিদ্ধান্ত
কংগ্রেসের আর ৫ জন বিধায়ক অবশিষ্ট রয়েছে মেঘালয়ে। তাঁদের নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি আমপারিন লিংডো একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কনরাড সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন এই সিদ্ধন্তের পিছনে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের অনুমোদন রয়েছে, নাকি প্রদেশ স্তরে কোনও সমীকরণ তৈরির চেষ্টা চলছে, তা স্পষ্ট নয়।
কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, প্রমাণ হাতে তৃণমূলের
তবে কংগ্রেসের ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের সিদ্ধান্ত জানানোর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একহাত নেন। তিনি বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসাজোশের অভিযোগ তোলেন এবং কংগ্রেসকে নিশানায় বুঝিয়ে দেন, বিজেপির প্রধান বিরোধী এখন তৃণমূলই। কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তই তার প্রমাণ। কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেনি, পারবেও না। তা এতদিন বলে বেড়িয়েছে তৃণমূল। এবার মেঘালয়ের প্রমাণ দিয়ে তাঁরা সে কথা বলবে।
কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তৃণমূলের নিশানা ইঙ্গিতবাহী
উল্লেখ্য, মেঘালয়ে কংগ্রেসের মোট ১৭ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জনকে ভাঙিয়ে নেয় তৃণমূল। দলত্যগী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের দাবিতে মেঘালয়ের স্পিকার মেটবা লিংডোর কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তারপরই কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত যেমন তাৎপর্যপূর্ণ তেমনই তৃণমূলের নিশানাও জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে ইঙ্গিতবাহী।