কংগ্রেস ‘না ঘরকা না ঘাটকা’, দেশকে পথ দেখাবে ‘স্বচ্ছ পার্টি’ তৃণমূল, মত মমতার
কংগ্রেসকে ‘না ঘরকা না ঘাটকা’ বলে কটাক্ষ করে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমকেও একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলা কংগ্রেসের নির্লজ্জ বিরোধিতা সহ্য হচ্ছে না তৃণমূল নেত্রীর। সেই কারণে এদিন ফের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তিনি। কংগ্রেসকে 'না ঘরকা না ঘাটকা' বলে কটাক্ষ করতেও তিনি ছাড়লেন না। এদিন বিজেপি-র পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেস ও সিপিএমকেও একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন:এক বুথ তিন প্রার্থী! নয়া অঙ্কে কিস্তিমাত করতে বিজেপি কঠিন চ্যালেঞ্জ নিল পঞ্চায়েতে]
তিনি বলেন, 'সিপিএম-কংগ্রেসের-বিজেপি তাঁদের যত বিরোধিতা করবেন, ততই মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে ওঁরা।' তিনি এদিন নিজের দলকে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি স্বচ্ছ পার্টি বলে উল্লেখ করেন। বলেন, 'ভবিষ্যতে বাংলাই পথ দেখাবে দেশকে। সমাজ রক্ষার দায়িত্ব নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'তৃণমূল আজ রাজ্যের বুকে ভালো কাজ করছে, আগামী দিনে দেশের বুকে ভালো কাজ করবে। তৃণমূলই একমাত্র দল যে বিজেপি ও কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সামনে থেকে প্রতিবাদ করেছে। অন্য কোনও দলের এই বুকের পাটা হয়নি। ২০১৯-এ বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে।'
মমতা বলেন, 'আমাদের দল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের জুড়ি মেলা ভার। তৃণমূলই দেশের মধ্যে সব থেকে স্বচ্ছ পার্টি। আমাদের কাজ মানুষের জন্য উন্নয়ন করা। মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কুৎসা-অপপ্রচার করা আমাদের কাজ নয়।
[আরও পড়ুন: ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়, গ্রেফতার বাড়ির কেয়ারটেকার]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'ভবিষ্যতে দেশকে পথ দেখাতে নতুন নেতা তৈরি করছেন তিনি। তিনি দলে একা নন, তাঁর পাশে রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের মতো নেতা। সেইসঙ্গে দলের ভবিষ্যৎ শুভেন্দু-অভিষেকও রয়েছেন। জেলা সভাপতিরা জেলা চালাচ্ছেন, ব্লক সভাপতিরা ব্লক।'
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে উঠে এসেছি। মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি, মানুষের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থেকেছি। ফলে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। আমরা সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে উঠে এসেছি। এখনও আমরা লড়াই করে চলেছি।'
তাঁর কথায়, 'এখন লড়াই চলছে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার লড়াই। বিরোধীরা আমাদের কাছে কোনও ফ্যাক্টর নয়। তার কারণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে বাংলার মানুষ। আমরা এমন বাংলা তৈরি করতে চাই, যে বাংলা দেশকে পথ দেখাবে। সেদিন আর দূরে নয়, ২০১৯-এই সেদিন আসছে।'
[আরও পড়ুন: চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য সুখবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে 'মাস্টারস্ট্রোক' দিলেন মমতা]