২০১৯ লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর কলমই ভরসা মমতার! পরাজয় মানেই যে হার নয়
লোকসভা ভোট ধাক্কা খেয়েছেন। আর তারপরই ঘুরে দাঁড়াতে কলম ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চিঠি লিখেছিলেন দলের কর্মীদের।
লোকসভা ভোট ধাক্কা খেয়েছেন। আর তারপরই ঘুরে দাঁড়াতে কলম ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চিঠি লিখেছিলেন দলের কর্মীদের। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার চিঠি তিনি লিখে ফেলেছেন জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে ছড়িয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীদের। চিঠিতে রয়েছে মমতার ছবি, সেই সঙ্গে স্বাক্ষরও।
পরাজয় মানেই হার নয়
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের ভরাডুবির ছবি স্পষ্ট হয়ে যায়। যেখানে ৪২-এ ৪২ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্র রেখেছিল তৃণমূল, সেখানে জোটে মাত্র ২২টি আসন। আর তারপরই তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন, পরাজয় মানেই হার নয়। ইভিএমে কারচুপি করেই ১৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি।
৫০ হাজার চিঠি ব্লকে ব্লকে
এবার সেই বার্তাই তিনি দিলেন দলীয় কর্মীদের। চিঠি লিখে দলের কর্মীদের সে কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০ হাজার চিঠি ব্লকে ব্লকে বিলি করা হয়েছে। সেই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, নজরুল, রামমোহন, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে মমতা লিখেছেন- 'পরাজয়ের অর্থ মৃত্যু নয়, বরং আরও উৎসাহ। পরাজয় মানে সমস্ত শক্তিকে একত্রিত করে নতুন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া। তিনি লেখেন, বাংলাকে এত সহজে হারানো যায় না।'
মণীষীদের সংগ্রামীদের কথা চিঠিতে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা, বিরসা মুণ্ডার বিক্রম, আম্বেদকরের অনুশাসনের কথা উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে তিনি আবুল কালাম আজাদ, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকি, ভগত সিংহদের লড়াইয়ে কথাও উল্লেখ করেছেন। এই সব মণীষীদের সংগ্রামীদের কথা বলে তিনি কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করতে চেয়েছেন।
মা-মাটি-মানুষ যোগ্য জবাব
দলের কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, 'আমি অন্তর থেকে বিশ্বাস করি, চাতুরি দিয়ে বেশিদিন জেতা যায় না। শাসন কায়েম করা যায় না। যান্ত্রিক চাতুরি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখা যাবে না। মা-মাটি-মানুষ যোগ্য জবাব দেবে সময় এলেই। তিনি এই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান।
[আরও পড়ুন: 'জন্ম থেকে মৃত্যু, পদে পদে কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল', সংসদে সুর চড়ালেন লকেট]