বিমানবন্দরের সম্প্রসারণে জমি দেবেন মমতা! ৯০ একর জমি অধিগ্রহণে বাধা চা-বাগান
ফের জমি অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। এবার বাগডোগরা বিমানবন্দরের জন্য ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের জমি অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। এবার বাগডোগরা বিমানবন্দরের জন্য ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে এই জমি কিনে দেবে রাজ্য। উল্লেখ্য, রানওয়ে সম্প্রসারণের পাশাপাশি পণ্যবিমান ওঠানামার জন্যও পরিকাঠামো তৈরি হবে।
উত্তরবঙ্গের একমাত্র সচল বিমানবন্দর বলতে এই বাগডোগরা। বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে মূল বাধা ছিল জমি। সেই জমির সমস্যা মিটলে বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করতে পারে এয়ারপোর্ট অথরিটি। এজন্য বাগডোগরা চা বাগানের বেশ কিছুটা জমিতে কোপ পড়বে। ওই জমি রয়েছে চা বাগান মালিকের হাতে। দীর্ঘমেয়াদি লিজ রয়েছে তাঁর। এই অবস্থায় তাণঁর সম্মতি ছাড়া জমি অধিগ্রহণ অসম্ভব। তারপর ওই জমি বনভূমি হিসেবে চিহ্নিত। ফলে ওই জমিতে বাণিজ্যিক কাজ করতেও অনেক আইনি বিধিনিষেধ রয়েছে।
এখনও এমন নানারকম বাধা কাটাতে রাজ্য সরকারের শরণাপন্ন হয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। রাজ্য সরকারে বিমানবন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে উদ্যোগী হয়েছে জমি অধিগ্রহণের জন্য। ইতিমধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা চেয়েছে রাজ্য সরকার।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েটির দৈর্ঘ্য ২৭৫৪ মিটার। এই রানওয়েতে যাত্রবাহী বিমান ওঠানামা সম্ভব হলেও পণ্যবাহী বিমান ওঠানামা করা যায় না। সে জন্য চাই লম্বা রানওয়ে। তারপর এই বিমানবন্দরে রয়েছে বাযুসেনার বিমানঘাঁটি। উল্লেখ্য, এই বিমানবন্দরের উন্নয়নপ্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।