‘বুলবুলে’র পর ‘আম্ফান’ও বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে, নবান্নে তাই রাত জাগবেন মমতা
‘বুলবুলে’র পর ‘আম্ফান’ও বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে, নবান্নে তাই রাত জাগবেন মমতা
সুপার সাইক্লোন আম্ফান পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে আছড়ে পড়বে বুধবার। মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সময় প্রভূত ক্ষতিসাধন করবে বাংলার উপকূলবর্তী তিন জেলার। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে রাত জাগবেন। বাংলাকে পাহারা দেবেন তিনি।
ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন, সাবধান করলেন মমতা
আবহবিদরা জানাচ্ছেন সুপার সাইক্লোনের রূপ নেওয়া এই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি থেকে ১৯৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়বে একদিকে দিঘা থেকে সুন্দরবন লাগোয়া উপকূলবর্তী অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়। বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যায় আছড়ে পড়বে এই ঝড়। মুখ্যমন্ত্রী তাই দুপুরের পর বঙ্গবাসীকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাত জাগবেন নবান্নে
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নবান্ন তথা রাজ্য সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অবস্থান করবেন। সারারাত জেগে তিনি বাংলার পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। মনিটরিং করবেন উপকূলবর্তী এলাকার কাজকর্ম। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলার স্থলভাগ ছেড়ে চলে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি কন্ট্রোলরুমেই থাকবেন।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ রাজ্যের
মমতা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়াসহ সমস্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে উদ্ভূত যে কোন ঘটনাকে মোকাবিলার জন্য তৈরি রাজ্য। ইতিমধ্যে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনীকে।
বাড়ির অভ্যন্তরে এবং নিরাপদ জায়গায় থাকার পরামর্শ
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এবার ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি প্রচুর। সুপার সাইক্লোন আম্ফান আয়লা, বুলবুল এবং সাম্প্রতিক সময়কার ঘূর্ণিঝড়গুলির থেকেও মারাত্মক বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই ঘূর্ণিঝড়টি কমার আগে পর্যন্ত প্রত্যেককে বাড়ির অভ্যন্তরে এবং নিরাপদ জায়গায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোন জেলায় কত মানুষকে সরানো হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে
তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি কেউ যাবেন না। সমস্ত জেলাশাসক, এসপি, পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছি। তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ লক্ষ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৫০,০০০, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০,০০০ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০,০০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে যোগদান, মহামারীর মধ্যে দলবদল মন্ত্রীর হাত ধরে