২০২৪-র ছক সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন মমতা, কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে চড়ছে পারদ
২০২৪-র ছক সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন মমতা, কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে চড়ছে পারদ
৯ জুন বুধবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে কৃষক আন্দোলনের পারদ চড়ানোই কী মূল উদ্দেশ্য জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈিতক মহলে। কৃষকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন সকলেরই জানা। তাই কৃষক দরদী মমতা পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কৃষক নেতারা তার প্রতিদানে ভোটের আগে রাজ্য এসে মমতার হয়ে সভা করেছেন। বাংলায় মমতা সরকারের বিপুল জয়ের পর ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন নয়া মাত্রা পাবে বলে মনে করছে রাজনৈিতক মহল।
কৃষক নেতার সঙ্গে বৈঠক
ফের কৃষক আন্দোলনে শান দিতে চলেছেন মমতা। সর্বভারতীয় স্তরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শান দিতে কৃষক আন্দোলন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে মমতা সরকারের এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ে অন্য অবিজেপি দল গুলি শক্তি পেয়েছে। তাই আগামী ৯ তারিখ কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইটের সঙ্গে মমতার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ এই বৈঠকে শুধু কৃষকদের অধিকার রক্ষার লড়াই নয়, ২০২৪-র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হতে চলেছে।
কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন
একুশের ভোটের আগে যখন নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল দেশ ঠিক তখনই পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তিনি সেখানে ডেরেক ওব্রায়েনকে পাঠিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলেছিলে কৃষকনেতাদের সঙ্গে। তাঁদের আন্দোলনে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাজ্যে কৃষকদের সমর্থনে পথে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর বিপুল জয়ের শুভেচ্ছা জানাবেন কৃষক নেতা। তারপরেই গোটা দেশে কৃষক আন্দোলন জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হবে।
২০২৪-ই টার্গেট
একুশের বিধানসভা ভোটের জয় হয়ে গিয়েছে মমতার। এবার টার্গেট ২০২৪-র লোকসভা ভোট। সম্প্রতি কালীঘাটে সাংগঠনিক বৈঠকে বেশ কিছু রদবদল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তাতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে। এছাড়াও রাজ্য কমিটিতে একাধিন নতুন মুখকে তুলে আনা হয়েছে। এক ব্যক্তি এক পদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যিনি মন্ত্রী হবেন তিনি সাংগঠনিক পদ পাবেন না। এরকম একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। পুরোটাই ২০২৪-কে টার্গেট করেই করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কৃষি আইনের প্রতিবাদে থানাতেই গরু নিয়ে রাত্রিযাপন হরিয়ানার প্রতিবাদী কৃষকদের
বিজেপি হঠাও
২০২৪-এ বিজেপি হঠাও এই অভিযানেই কমর কষছেন মমতা। একুশের ভোট মিটতেই তাই সামনের সারিতে নিয়ে আসা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলে একাধিত পদে নিয়োগ করা হয়েছে যুব নেতাদের। দলের নেতাদের আচরণবিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন দলনেত্রী। সব নির্বাচিত প্রতিনিধিকেই মমতা স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছেন এবার থেকে ২০২৪-কে টার্গেট করেই তাঁদের কাজে ঝাঁপাতে হবে। কাজেই কোনও রকম আত্মতুষ্টিতে ভোগা যাবেনা।