রাজ্যপাল এখন গলার কাঁটা রাজ্যের, বিধানসভা স্পিকারের সঙ্গে মমতার বৈঠক নিয়ে জল্পনা
রাজ্যপাল এখন গলার কাঁটা রাজ্যের, বিধানসভা স্পিকারের সঙ্গে মমতার বৈঠক নিয়ে জল্পনা
রাজভবন ও বিধানসভা সংঘাতের আবহে এবার আসরে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের অবস্থান নিয়ে আলোচনায় বিধনাসভার স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক চললে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেবেন বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল প্রসঙ্গও যে উঠবে, তা বলাই যায়। সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আঙ্গিকে মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার অধ্যক্ষের বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত লেগেই রয়েছে। রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনখড় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সংঘাত চরমে ওঠে। সেই সংঘাতের শেষ হয়নি আজও। নানান বিষয়ে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজভবন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে। সেই লড়াইয়ে আবার সংযোজন হয়েছে রাজভবন বনাম বিধানসভা সংঘাত।
সম্প্রত্ হাওড়া ও বালি পুরসভার ভোট করানো নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে পৌঁছয়। শুক্রবার হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেল হাওড়ার বিলে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের কথা বলেলও সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জানিয়ে দেন ওই বিলে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল।
এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর কথায় সায় দিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর ফলে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত আরও চরমে ওঠে। এই আঙ্গিকে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসতে চলেছেন। ফলে এই বৈঠকে রাজ্যপাল প্রসঙ্গ উঠবেই।
এছাড়া বৈঠকে বিধানসভার সচিবালয়ের ক্ষমতা নিয়েও আলোচনা হবে। এতদিন পরিষদীয় দফতর মারফত বিধানসভা সচিবালয় তথা বিধানসভার স্পিকারকে সব কাজ করতে হত। তার সরলীকরণ নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকার ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবীরা। তাঁরা পরামর্শ দেবেন আলোচনার বিভিন্ন বিষয়ে। তবে সচিবালয়ের আধিকারিকরা এই বৈঠক নিয়ে স্পিকটি নট। তাঁরা এই বৈঠকের কারণ নিয়ে কেউই কোনও মুখ খুলছেন না।
বিধানসভার একাধিক বিল রা্জ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের জেরে আটকে রয়েছে। রাজ্যপাল অসহযোগিতা করেই চলেছেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে। এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছে রাজ্য। রাজভবনে যেমন গণপিটুনি বিল আটকে রয়েছে, তেমনই আটকে রয়েছে হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলটি। তাতে রাজ্যপালের স্বাক্ষর না হলে হাওড়া ও বালি পুরসভায় ভোট করা যাবে না।