বাংলায় এক্সিট পোল মিলিয়ে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনে অন্য অঙ্ক, মোদী-বিরোধী মুখ হয়ে উঠবেন মমতা
বাংলায় এক্সিট পোল মিলিয়ে প্রত্যাবর্তনে অন্য অঙ্ক, মমতাই হবেন দিল্লির মোদী-বিরোধী মুখ
বিজেপি এবার পাখির চোখ করেছিল বাংলা দখলকে। কিন্তু এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষা যদি সত্যি হয়, তবে বাংলায় বিজেপির পরিবর্তনের সরকার গড়ার স্বপ্ন ধাক্কা খাবে। ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তন হবে বাংলায়। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির রাজনীতিতে মোদী-বিরোধী প্রধান মুখ।
মমতার সরকারই প্রত্যাবর্তন, বলছে এক্সিট পোল
এবার শ্যামাপ্রসাদের বাংলা দখল করতে মোদী-শাহরা কোমর বেঁধে নেমেছিলেন। বাংলায় প্রচারের জন্য তাঁরা করোনাকালেও ডেলি প্যাসেঞ্জার হয়ে গিয়েছিলেন বাংলায়। তারপরও এক্সিট পোল বলছে, বাংলায় মমতার সরকারই প্রত্যাবর্তন করছে। বিজেপির সম্ভবনা একেবারেই ক্ষীণ। দু-একটি বুথ ফেরত সমীক্ষা বিজেপিকে এগিয়ে রাখলেও, বেশিরভাগের মত তৃণমূলের পক্ষেই।
বাংলার নির্বাচন কার্যত মোদী বনাম মমতার লড়াই
রাত পোহালেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে শুরু করবে। সমস্ত জল্পনার অবসান হবে। তার আগে জোরদার চর্চা চলছে, যদি মমতা এবার প্রত্যাবর্তন করেন, তবে মোদীর বিরুদ্ধে তিনিই হয়ে উঠবেন দিল্লি রাজনীতির মুখ। এবার এক অর্থে বাংলার নির্বাচনে মোদী বনাম মমতার লড়াই হয়ে উঠেছিল। তাই এই ফল জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।
তৃণমূলকেও ২০০ আসন দেয়নি বুথ ফেরত সমীক্ষা
এবার বাংলার ভোটে ২০০ আসনের দাবি নিয়য়ে লড়াইয়ে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষাই বিজেপিকে ২০০ আসন দেয়নি। এমনকী তৃণমূলকেও ২০০ আসন দেয়নি বুথ ফেরত সমীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে একথা বলাই যায় অমিত শাহের আরও একটি ব্যর্থ দাবি তালিকায় সংযোজিত হতে চলছে।
অনেক ক্ষেত্রেই এক্সিট পোলের পূর্বাভাস মেলে না
এটা ঠিক যে অনেক ক্ষেত্রেই এক্সিট পোলের পূর্বাভাস মেলে না। সম্প্রতি বিহারের ভোটই তার প্রমাণ। এবার অধিকাংশ এক্টিট পোলই বিহারে এনডিএ সরকারের পতনের পূর্বভাস দিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি-জেডিইউ জোটই শেষপর্যন্ত জয়ী হয়। এবং বিহারে সরকার গঠন করে।
বিজেপির প্রধান বিরোধী দল হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত
তবে বিজেপি হারলেও পশ্চিমবঙ্গে তাদের মহাউত্থান হবে। কেননা ২০১৬-য় তিনটি আসন থেকে শাসক তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা সহজ কথা নয়। সেটা যে হতে চলেছে, তা কনফার্ম। বাম-কংগ্রেসকে সরিয়ে বিজেপির প্রধান বিরোধী দল হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত বুথ ফেরত সমীক্ষায়।
দিল্লির রাজনীতিতে বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে পারেন
কিন্তু একইসঙ্গে এই কথাও প্রযোজ্য যে এবার এক্সিট পোল সত্যি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় যদি আসে, তবে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠবেন তিনিই। তিনিই ২০২৪-এ মোদীর চ্যালেঞ্জার হয়ে দিল্লির রাজনীতিতে বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে পারেন। বাংলার নির্বাচনই মমতাকে ফের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বের আসনে বসাতে পারে।
মমতার সরকার প্রত্যাবর্তন করলে, না করলে
বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রত্যাবর্তন করলে দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী জোট ফের দানা বাঁধতে পারে। আবারও দিল্লির রাজনীতিতে কড়া টক্করের মুখে পড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদী। আর যদি উল্টোটা হয়, তবে বাংলায় পরিবর্তন তো আসবেই, সেইসঙ্গে দিল্লির রাজনীতিতে মোদী ফের নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলতে সমর্থ হবেন।