বিজেপিতে বিদ্বেষ, বাজপেয়ীতে অটল শ্রদ্ধা! তৃণমূলীদের কড়া হুঁশিয়ারি স্বয়ং মমতার
তৃণমূল যে অটলবিহারী বাজপেয়ী ও বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বকে আলাদা চোখে দেখে, তা আবার প্রমাণ করল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনওমতেই তিনি অটলবিহারীকে নিয়ে নোংরামো বরদাস্ত করবেন না।
তৃণমূল যে অটলবিহারী বাজপেয়ী ও বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বকে আলাদা চোখে দেখে, তা আবার প্রমাণ করল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনওমতেই তিনি অটলবিহারীকে নিয়ে নোংরামো বরদাস্ত করবেন না। অটলবিহারী অসম্মানিত হন, এমন কোনও কাজ বা মন্তব্য কিছুই করা যাবে না বলে দলে 'হুইপ' জারি করলেন মমতা।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় প্রথম পূর্ণমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে বিজেপির বিরোধিতা করলেও বাজপেয়ী-প্রসঙ্গে সবসময় সম্মান প্রদর্শন করে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এমনও বলেছেন, বাজপেয়ী-আদবানীর বিজেপি আর আজকের মোদী-শাহদের বিজেপি আকাশ পাতাল ফারাক।
সেই কারণেই বিজেপির প্রতি বিদ্বেষ মনোভাবাপন্ন হলেও অটলবিহারী বাজপেয়ীতে নমনীয় থাকার নির্দেশ জারি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণের পর সোশাল মিডিয়ায় অনেক তৃণমূল সমর্থই আক্রমণ শানান। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই নানারকম বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে অটলবিহারীর স্মরণসভায়।
বিহারে যেমন এক অধ্যাপর প্রহৃত হয়েছেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর নিন্দা-মন্দ করে, তেমনই এ রাজ্যেও শিলিগুড়িতে এক কাউন্সিলর বাধা দেন বাজপেয়ীর স্মরণসভায়। যদিও তিনি তৃণমূল কাউন্সিলর নন, তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধাশীল, কোনওরকম কুরুচিকর মন্তব্য কোনও কর্মী-সমর্থক যেন না করেন।
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কথাও বলেন, ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। সেসবও বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এই নির্দেশ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত স্তরে।