ত্রাণ নিয়ে কোনও দুর্নীতি সহ্য নয়! কয়লা, বালি, গরু পাচার নিয়েও মন্ত্রী-বিধায়কদের সতর্ক করলেন মমতা
মানুষের বিপুল রায়ে ফের বাংলার মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এই বৈঠক থেকেই দলের মন্ত্রী-বিধায়কদের কড়া বার্তা দিলেন তিনি।
মানুষের বিপুল রায়ে ফের বাংলার মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এই বৈঠক থেকেই দলের মন্ত্রী-বিধায়কদের কড়া বার্তা দিলেন তিনি।
বিশেষ করে দুয়ারে ত্রাণ' কর্মসূচি নিয়ে কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে সতর্ক করে দিলেন- কয়লা, বালি বা গরু পাচার নিয়ে দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ না ওঠে।
বাংলায় আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন ইয়াস। ভেসে গিয়েছে বাংলার উপকূল। বিপদের মধ্যে রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার 'দুয়ারে ত্রাণ' প্রকল্প চালু করেছে। সমস্ত জেলা প্রশাসনকে আগেই সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছিলেন, ত্রাণ বিলি নিয়ে যেন কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব বা দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে।
শনিবারের বৈঠকেও দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের সে কথা আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিলেন মমতা। উল্লেখ্য, আম্ফানের পর ত্রাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। কার্যত রেশণ থেকে ত্রিপল সহ একাধিক সামগ্রি নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসে।
এমনকি ক্ষতিপূরনের টাকাও চলে যায় তৃণমূল নেতাদের পকেটে। যা নিয়ে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আর যা বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। এবারও বিধানসভা নির্বাচনেও আমপান পরবর্তী ত্রাণের দুর্নীতি ছিল বিরোধীদের অন্যতম বড় ইস্যু। কয়লা, বালি, গরু পাচার নিয়েও বিরোধী দলগুলো তৃণমূলকে বার বার নিশানা করেছে। এমনকি খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই।
এমন অভিযোগের শিকার যাতে না হতে হয়, দলের নেতামন্ত্রীদের সে দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধেও যেন এমন কোনও অভিযোগ না ওঠে, সে ব্যাপারে দলের নেতা-মন্ত্রীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মমতা।
রাজনৈতিকমহলের মতে, সামনেই পুরসভা নির্বাচন। কলকাতা সহ একাধিক পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। এমনকি ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন রয়েছে। যার মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়বেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর সেদিকে তাকিয়ে দলের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যাতে বিরোধীরা কোনো ইস্যু না তুলতে পারে।