ভবানীপুর নিহত শাহ দম্পতির বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা মমতার
ভবানীপুর নিহত শাহ দম্পতির বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা মমতার
উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরেই সোজা ভবানীপুরে শাহ দম্পতির বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনার, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শাহ দম্পতির পরিবারর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেতে গিয়ে মমতা বলেছেন, পরিচিত না হলে তো দরজা খুলেতেন না তাঁরা। কাজেই শাহ দম্পতির খুনের ঘটনায় পরিচিত কারোর হাত থাকত পার বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শাহ দম্পতির বাড়িতে মমতা
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরর যাওয়ার দিনই রাতে খুন হয়েছিলেন ভবানীরুরের গুজরাতি দম্পতি। নিজের বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়ছিল তাঁদের দেহ। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ থেকে ফোন করে ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে এসেই সোজা তিনি চলে গিয়েছিলেন ভবানীপুরে শাহ দম্পতির বাড়িতে। মিত্র ইনস্টিটিউশনের গায়ে লাগোয়া বাড়িটিতে কীভাবে খুন হলেন ২ জন তা নিয়ে পুলিশকে দ্রত তদন্তের নির্দেশ দিয়েেছন। এদিন তিনি শাহ দম্পতির পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলেন।
খুনি কী পরিচিতরা?
শাহ দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পরিচিত কেউ না এলে কেন দরজা খুলবেন কেউ। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যে খুনিরা পরিচিত ছিল সেই তত্বই প্রকট হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য খুনের তিন দিন পার হয়ে গেলেও এখনও অধরা খুনিরা। এদিন ভবানীপুরে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্য মন্ত্রী। ভবানীপুরের মত হাই প্রোফাইল জায়গায় কীভাবে একসঙ্গে দুটি খুন হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেেছ। ভবানীপুরে শাহ দম্পতির দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এই ধরনের ঘটনা অভিপ্রেত নয় কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
কাটোয়ার তরুণীকে চাকরি
কাটোয়ায় হাত কাটা তরুণীকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা। তিনি বলেছেন যেভাবে হাত কাটা হয়েছে তার তাতে যে পদের জন্য তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল সই পদে হয়তো সে কাজ করত পারবে না তবে সে বসে যে কাজটা করত পারে সেই কাজ করতে দেয়া হবে। অর্থাৎ রেণু খাতুনের চাকরি পাকা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাত কাটা পড়লেও সরকারি চাকরি যাচ্ছ না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সরকারি চাকরি পাওয়ায় তাঁর কবজি কেটে দিয়েছিলেন স্বামী। ভাড়াটে খুনি নিয়ে এসে কবজি কেটে দেয়া।
অধরা আততায়ী
ভবানীপুরের জোড়া খুনে এখনও অধরা খুনি। ধর্মতলা থেকে শাহ দম্পতিক মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। সেই ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুধু শেয়ার ট্রেডিংয়ের কারণেই খুন না এর নেপথ্যে পুরনো কোনওশত্রুতা রয়েছে তা খতিয়ে েদখছে পুলিশ। নিহত গুজরাতি দম্পতি যেভাবে পড়ে ছিলেন ঘরের মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে আরও কোনও ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এবং অতিথি হিসেবে খুনি এসেছিলেন সেখানে এমনই মনে করা হচ্ছে।