শ্রমিক নয় 'সাথী', মে দিবসের শুভেচ্ছায় টুইটে লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক মে দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলক বামেরাই মে দিবস উদযাপন করে থাকে। বাম জমানায় সকাল থেকে মিছিল শোভা যাত্রায় রাজ্যে উদযাপন করা হত মে দিবস। এখন মে দিবসের সেই জৌলুস আর নেই। বামেরাও গিয়েছে মে দিবসের উদযাপনেও ভাঁটা পড়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রম দিবস উদযাপন করতে ভোলে না শাসক দল। আজ আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে শ্রমিকদের সাথী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

টুইটে শুভেচ্ছা মমতার
আজ আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস বা মে ডে। গোটা বিশ্বেই এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। রাজ্যবাসীকে টুইটে শ্রমদিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছেন, আমি গর্বিত আমার সাথী ভাইবোনেদের কাজের জন্য। সমগ্র দেশ এবং বিশ্বের কর্মী এবং শ্রমিক ভাইবোনেদের তিনি টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বঙ্গের শ্রমিক ভাইবোনেদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জাতীয় ছুটি
শ্রম দিবস বা মে ডে-এবার রবিবার পড়ে যাওয়ায় ছুটি বাদ গেছে। কিন্তু এই দিনটিতে গোটা দেশে ছুটি থাকে। জাতীয় ছুটি হিসেবেই এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। সমগ্র বিশ্ব শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা এবং শ্রমিকদের শোষণের বিরুদ্ধে এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। ভারতের মত একাধিক দেশে এই দিনটিকে জাতীয় ছুটি হিসেবেই পালন করা হয়। ভারতে প্রথম শ্রম দিবস বা মে ডে উদযাপন করা হয়েছিল ১৯২৩ সালে। চেন্নাইয়ের হিন্দুস্তান লেবার কিসান পার্টি এই দিনটি প্রথম পালন করে। কমিউনিস্ট নেতা মালয়পুরম সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ার শ্রমিকদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ১ মে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার পক্ষে প্রথম সওয়াল করেন।

বঙ্গে কখন শ্রম দিবস উদযাপন শুরু হয়
বঙ্গে মূলত বাম শাসনের সূচনা থেকেই ঘটা করে শ্রমদিবস পালন করা হয়ে থাকে। সেই স্মৃতি এখনও অনেকের মনে টাটকা। শ্রম দিবসের আগের দিন থেকেই গোটা রাজ্যে শুরু হয়ে যেত সাজ সাজ রব। লাল পতাকায় ঢেকে যেত রাস্তাঘাট-অলি গলি। রাত থেকে পাড়ার মোডে মোড়ে বাজত গণসঙ্গীত। সকাল হলেই লাল ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে শহর থেকে গ্রাম রাস্তায় মিছিল করতেন শ্রমজীবী, কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষেরা। দুপুর পর্যন্ত চলত উৎসব। বিকেলেও থাকত একাধিক অনুষ্ঠান। বাম শাসনের অবসানের পর থেকে সেই মে দিবসের সেই জৌলুস হারিয়ে গিয়েছে। এখন কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমা বদ্ধ মে দিবস।

মে দিবসের ইতিহাস
শ্রম দিবসের ইতিহাসে জড়িয়ে রয়েছে ১৯ শতকের শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৮৯ সালে মার্কসবাদী আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক কংগ্রেস একটি আন্তর্জাতিক বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছিল। তাতে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। বলা হয় শ্রমিকদের দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। সেই থেকে শুরু। ১ মে ধীরে ধীরে শ্রমিক দিবসে পরিণত হয়। ১৪ জুলাই, ১৮৮৯ সালে ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দলগুলির প্রথম আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে দিনটির ঘোষণা করা হয় এবং ১ মে, ১৮৯০ সালে তা প্রথম স্বীকৃত হয়।
রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ বছর পূর্তি! বছরভর চলবে অনুষ্ঠান, শুভেচ্ছা বার্তা মোদী-মমতার