'সাহসী গ্রামবাসীকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই', নন্দীগ্রাম দিবসে টুইটে ২০০৭-র ঘটনা স্মরণ মমতার
'সাহসী গ্রামবাসীকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই', নন্দীগ্রাম দিবসে টুইটে ২০০৭-র ঘটনা স্মরণ মমতার
আজ ১৪ মার্চ। এই দিনটাকে তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে উদযাপন করে থাকে। সেই ঐতিহাসিক দিনের কথা স্মরণ করিয়ে টুইট করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৭ সালে পুলিশের গুলিতে জমি রক্ষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের সকলকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে গোটা বিশ্বের কৃষকদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি।
আজ ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবস. ২০০৭ সাল থেকেই এই দিনটি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনটির হাত ধরেই রাজ্যে এসেছিল রাজনৈতিক পরিবর্তন। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল এই নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সেকারণেই তৃণমূল কংগ্রেস এই দিনটি বিশেষ করে স্মরণীয় করে তুলতে চান। সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা তৈরির প্রতিবাদে একদিকে যেমন মাথাচারা দিয়েছিল ঠিক সেইরকমই পূর্বমেদিনীপুরের নন্দীগ্রামেও আন্দোলন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ১৪ জন গ্রামবাসীর। সেই থেকেই বাম শাসনের পতনের শুরু।
২০০৮ সাল থেকে এই দিনটি পালন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু নেপথ্যে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবারের মত আজও নন্দীগ্রামে এই দিনটি উদযাপন করা হবে বিশেষ ভাবে। সকালেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে গ্রামবাসীদের শ্রদ্ধা জানিেয়ছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'প্রতি বছর ১৪ মার্চকে কৃষক দিবস হিসাবে আমরা স্মরণ করি। নন্দীগ্রামের সেই সাহসী গ্রামবাসীকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। ২০০৭ সালে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে হয়েছিল অনেককে। এই দিনে তাঁদের এবং গোটা বিশ্বের কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই'।
২০২১ সাল থেকে নন্দীগ্রাম দিবস উদযাপনের উৎসব কার্যত ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তার একমাত্র কারণ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাই এই দিনটি আবার শুভেন্দু অধিকারী আলাদা ভাবে পালন করে থাকেন। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে রণক্ষেত্রের চেহারা নিেয়ছিল নন্দীগ্রাম। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ জানিেয় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল তাঁকে। সেকারণে নন্দীগ্রাম দিবসে পৃথকভাবে আয়োজন করে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে গোকুলনগরের মালপল্লিতে শহিদবেদিতে মাল্যদান করা হবে। পরে গৌরাঙ্গ মূর্তিতে হরিকীর্তনের আয়োজন করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ভাঙাবেড়ায় শহিদ স্মরণ করবেন কলকাতা থেকে আসা তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। দোলা সেন, দলের দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও সঞ্জয় বক্সি আজ সভা করবেন নন্দীগ্রামে।
এদিকে
আবার
শুভেন্দু
অধিকারীর
পক্ষ
থেকেও
পক্ষ
থেকেও
নন্দীগ্রাম
দিবস
উদযাপন
করা
হয়েছে।
প্রথমে
অধিকারী
পল্লিতে
নন্দীগ্রাম
দিবস
পালন
করবেন।
পরে
সোনাচূড়ায়
শহিদ
স্মরণ
করার
কথা
বিরোধী
দলনেতার।
কোনও
দলীয়
পতাকা
না
নিয়েই
নন্দীগ্রাম
দিবস
তিনি
উদযাপন
করবেন
বলে
জানিয়েছেন।