৭৮ ফিরল ১৮-য়। জ্যোতি বসুর রেকর্ড স্পর্শ করে ‘অনন্য’ নজির গড়লেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চেয়েছিলেন ইতিহাস ছুঁতে। জ্যোতি বসুর ১৯৭৮-র করা কীর্তিকে ছুঁয়ে নয়া ইতিহাস রচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তারা ২০-তে ২০।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চেয়েছিলেন ইতিহাস ছুঁতে। জ্যোতি বসুর ১৯৭৮-র করা কীর্তিকে ছুঁয়ে নয়া ইতিহাস রচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তারা ২০-তে ২০। তার মধ্যে বাড়তি পাওনা ১১টি জেলা বিরোধীশূন্য। ১৯৭৮ গোটা রাজ্য লালে লাল হয়ে গিয়েছিল। এবার সবুজে সবুজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় সবুজ ঝড়ের থেকেও বেশি উত্তাল হল এবার।
[আরও পড়ুন: জেলা পরিষদে নয়া 'নজির' তৃণমূলের! কোন কোন জেলায় হল 'স্বপ্নপূরণ', দেখুন একনজরে]
১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পরের বছরই প্রথম ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসর বসেছিল রাজ্যে। সেই নির্বাচনে বামফ্রন্টকে দু'হাত ভরে ভোট দিয়েছিল বাংলার মানুষ। ১৫টি জেলা পরিষদের বিরোধী কংগ্রেসকে উড়িয়ে রেকর্ড করেছিল বামফ্রন্ট। তারপর সেই রেকর্ড আর কেউ স্পর্শ করতে পারেনি।
জ্যোতি বসু প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে কীর্তির স্বাক্ষর রেখে গিয়েছিলেন, তা তিনিও আর কোনও নির্বাচনে করে দেখাতে পারেননি। পারেননি তাঁর উত্তরসূরি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও। কিন্তু রাজ্যে পরিবর্তনের পর তা করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪০ বছর সময় লাগল জ্যোতি বসুর রেকর্ড স্পর্শ করতে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ২০১৮: জেলা পরিষদে ৯৪ শতাংশ আসনেই জয় তৃণমূলের]
১৯৭৮ সাল ফিরে এল ২০১৮-তে। প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো নবম পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একটি জেলা পরিষদ দখল করতে ব্যর্থ হল বিরোধীরা। সব জেলা পরিষদের ক্ষমতাই উঠল শাসকের হাতে। এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০টি জেলা পরিষদের ক্ষমতাই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত জেলা পরিষদ দখল করে নজির তৈরি করেছিল বামফ্রন্ট। তারপর থেকে অবশ্য কোনওবারই এই কীর্তির স্বাক্ষর রাখতে পারেনি কোনও রাজনৈতিক দলই। ৪০ বছর পর ২০১৮-তে বামফ্রন্টের কীর্তিকে ছুঁয়ে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। সেইসঙ্গে ১১টি জেলা পরিষদ বিরোধীশূন্য করে ছাড়়ল তারা।