'লাকি রুম' থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা, আত্মবিশ্বাসী মমতার হ্যাটট্রিক হবে তো?
১০ বাই ১০-এর ছোট্ট একটি ঘর। কালীঘাটের এই ঘর থেকেই ২০১১ সালে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সৈনিকদের সঙ্গে নিয়েই ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে হটাতে পেরেছিলেন মমতা। ২০১৬ সালেও এই ঘর থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা। ২০১১ সালের থেকেও বড় ব্যবধানে জয়। সেই 'লাকি রুম' থেকেই এবারের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন মমতা।
ঘোষিত হল তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীতালিকা
ঘোষিত হল তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীতালিকা। বঙ্গভোটে এবার সবথেকে হাইভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র হচ্ছে নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রার্থী হচ্ছেন সেখান থেকে। বাকি কে কে জায়গা পেলেন তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায়? পঞ্চাশ জনের বেশি থাকছেন মহিলা প্রার্থী। প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে যুবদেরও।
যাত্রার শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে
শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। যাদবপুরে সিপিএমের হেভিওয়েট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে মমতার সংসদে প্রবেশ। অথচ সেই যাদবপুরেই ১৯৮৯ সালে হারতে হয় তাঁকে। তার পর নিজের 'হোম কনস্টিটুয়েন্সি' দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু হল এক ধারাবাহিক জয়ের ইতিহাস।
বিরোধী হিসেবে নানা ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা
সাতবারের সাংসদ। তার মধ্যে টানা ছয় বার। এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সাংসদ হিসেবে মমতার কৃতিত্ব কী? অনেক। তালিকা দীর্ঘ। বহুদিনের সাংসদ জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ নানা ঘটনা, পালন করেছেন সরকারি বা বিরোধী পক্ষ থাকাকালীন নানা ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা।
দুটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে চেয়েছেন বার বার মমতা
সব কিছু মিলিয়ে নিজের মূলত দুটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে চেয়েছেন বার বার। এক, বাংলার স্বার্থে তিনি লড়াই করবেন, এবং দুই, সিপিএমকে তিনি সহ্য করতে পারেন না। এই দুই সত্তা থেকে তৈরি যে ঝাঁঝ, সেটাই মমতাকে দিল্লির দরবারে আরও বেশি পরিচিতি, গুরুত্ব দিয়েছে।