আরও এক ইতিহাসের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার! অসাধারণ অনুভূতি বললেন চন্দ্রিমা
আরও এক ইতিহাসের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার! অসাধারণ অনুভূতি বললেন চন্দ্রিমা
আরও এক ইতিহাসের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার! এই প্রথম কোনও মহিলা অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করবেন। গত কয়েকদিন আগেই অর্থদফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। আর সেই হিসাবে আগামী অর্থবছরের জন্যে এই বাজেট পেশ করবেন তিনি। আর তা পেশ করার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেন অসাধারণ একটা অনুভুতি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
শুধু তাই নয়, অর্থমন্ত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ে কিছু না কিছু ইতিহাস তৈরি করেন। সেই ইতিহাসের মধ্যে আমাকেও জায়গা করে দিলেন। শুধু তাই নয়, কীভাবে এর কৃতজ্ঞতা জানাব তাঁর কোনও ভাষা নেই বলেও দাবি রাজ্যের মন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, সারা ভারতের মধ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি কি করতে পারেন দেখিয়ে দিয়েছেন। আমাকে যে বাজেট পেশ করার সুযোগ দিয়েছেন তা আমার কাছে দারুন একটা অনুভুতি বলেও ব্যাখ্যা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
আজ শুক্রবার বাজেট পেশ করছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর আগে কখনও অর্থমন্ত্রী হিসাবে অমিত মিত্র পড়েছেন। এমনকি আবার কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত বাজট পড়তে শোনা গিয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী হিসাবে কোনও মহিলা এই প্রথম আগামী আর্থিক বছরের জন্যে বাজেট পেশ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাজেট পড়ছেন তিনি। তবে বাজেট পেশের আগে তিনি জানান, এবার বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামো নির্মাণ, শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরিতে। সেইসঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা-চিন্তা তাও জানা যাবে এবার বাজেট পেশে। এইসব সামাজিক প্রকল্পে কতখানি বরাদ্দ বাড়ানো হয়, সেদিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের।
উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার ফলে প্রভাব পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। এবার বাজেটে তার প্রতিফলন পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প চালু হলেও তার কোনও নির্দিষ্ট বাজেট রাখা হয়নি গতবারে। এবার কী কী চমক অপেক্ষা করে আছে, সেটাই দেখার। তবে রাজনৈতিকমহলের মতে, নতুন কোনও প্রকল্পের দিকে হাঁটবে না সরকার। ইতিমধ্যে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলি পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই লক্ষ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে শিল্প এবং কর্মসংস্থান নিয়ে বিশেষ ঘোষণা হয়তো মমতার বাজেটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, শিল্প নিয়ে আসাটাই মূল টার্গেট।