মমতাকে হারানোই ছিল বিজেপির টার্গেট! তৃণমূল তাই ড্যাংডেঙিয়ে জিতেছে বাংলায়
মমতাকে হারানোই ছিল বিজেপির টার্গেট! তৃণমূল তাই ড্যাংডেঙিয়ে জিতেছে বাংলায়
বিজেপি টার্গেট নিয়েছিল শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে। বাংলায় রেকর্ড জয় পেয়েছে তৃণমূল। ২১৩টি আসনে তৃণমূলকে জিতিয়েছি। নন্দীগ্রামে হারলেও ভবানীপুরে জিতেই এবার ভবানীপুর থেকেই ভারত-জয়ের যাত্রা শুরু হবে। ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমাকে হারাতেই সব শক্তি শেষ!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঝুঁকি নিয়ে নন্দীগ্রামে লড়াই করেছি। ভবানীপুর থেকে ঝুঁকি নিয়েই নন্দীগ্রামে গিয়েছিলাম। আগে বুঝতে পারিনি নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হচ্ছে। নন্দীগ্রামে ভোট কারচুপি হয়েছে। আমাকে সর্বশক্তি দিয়ে হারানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু আমাকে হারাতেই সব শক্তি শেষ, বাকি আসনগুলিতে আমরা জিতেছি, রেকর্ড আসনে জিতে বাংলায় আবার ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল।
বিজেপি জানে মমতা মাথা নত করে না
বিজেপি টার্গেট নিয়েছিল প্রথমেই আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে। কারণ বিজেপি জানে আমি মাথা নত করি না। আমার পা জখম করে দেওয়া হয়েছিল। তবু সেই প্রতিকূলতা নিয়েই রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত ঘুরে আমরা জয় ছিনিয়ে এনেছি। কারণ বাংলার মানুষ আমাদের পক্ষে রয়েছে। আমাদেরকে হারানো বিজেপি সাধ্যে নেই।
এজেন্সি-অস্ত্র নিয়েও বিজেপির হার
মমতার কথায়, ভোটে বিজেপি নেতারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছে। সকালে এসেছে বিকেলে ফিরেছে। আবার বাংলায় ডিনার করেছে দিল্লিতে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করেছে। তবুও বিজেপি পারেনি। দিল্লি থেকে এসেছে, ভারবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও ছুটে এসেছে। এমনকী বিজেপি এজেন্সি নিয়ে এসেছিল বাংলার নির্বাচনে জিততে। কিন্তু এজেন্সি-অস্ত্র নিয়েও বিজেপি ভোট করেও শে, রক্ষ করতে পারেনি। বাংলার মানুষ তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে।
ভবানীপুর থেকে ভারত জয়ের অভিযান
এবার ভবানীপুর থেকে ভারত জয়ের অভিযান শুরু হবে। মমতা বলেন, ভবানীপুরও বি দিয়ে, আর ভারতও বি দিয়ে। ভবানীপুর জিতেই আমরা ভারত জয়ের লক্ষ্যে নেমে পড়ব। কারণ ভারতকে বিজেপির তালিবানি শাসন থেকে রক্ষা করতে হবে। দেশকে রসাতলে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। এই সরকারকে বিদায় দিয়ে সুশাসন প্রতিষ্টা করতে হবে।
অসময়ে কেন ভোট, জানালেন মমতা
মমতা বলেন, আমাকে ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। তাই এই অসময়ে ভোট হচ্ছে। কোভিড বিধি মেনেই ভোট হচ্ছে। তা না হলে এখনও চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি। তা একসঙ্গেই হতে পারত। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন যেটা ভালো বুঝেছে আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর ও দিনাহাটায় উপনির্বাচন পরে হবে। এখন যে দুটি কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচন বাকি ছিল, সেই দুটি কেন্দ্র ও ভবানীপুরে ভোট হচ্ছে।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মমতা
মমতা এদিন করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও টার্গেট করেন মোদী সরকারকে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের সাড়ে ৫ কোটি ভ্যাকসিনেশন হয়ে গিয়েছে। আমরা ভ্যাকসিনশনে সবার প্রথম। কেন্দ্রের অসহযোগিতা সত্ত্বেও আমরা সফল ভ্যাকসিনশন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের হাতে যদি ভ্যাকসিন থাকত, তবে ১০০ শতাংশ ভ্যাকসনেশন হয়ে যেত। কিন্তু এখন ভ্যাকসিন কিনেও দেওয়া যাবে না। কেন্দ্র যা পাঠাবে, তার উপরই নির্ভর।